17. এর আগে অব্নের ইস্রায়েলের বৃদ্ধ নেতাদের কাছে বলেছিলেন, “আগে আপনারা দায়ূদকে আপনাদের রাজা করতে চেয়েছিলেন।
18. এখন তা-ই করুন। সদাপ্রভু দায়ূদের বিষয়ে প্রতিজ্ঞা করেছেন যে, তিনি তাঁর দাস দায়ূদকে দিয়ে পলেষ্টীয়দের হাত থেকে এবং তাদের আর সব শত্রুর হাত থেকে তাঁর লোক ইস্রায়েলীয়দের উদ্ধার করবেন।”
19. অব্নের বিন্যামীনীয়দের সংগেও কথা বললেন। এছাড়া তিনি ইস্রায়েল ও বিন্যামীন-গোষ্ঠীর সমস্ত লোক যা করতে চায় তা সব দায়ূদকে জানাবার জন্য হিব্রোণে গেলেন।
20. অব্নের তাঁর সংগের বিশজন লোক নিয়ে যখন হিব্রোণে দায়ূদের কাছে উপস্থিত হলেন তখন তাঁর ও তাঁর লোকদের জন্য দায়ূদ একটা ভোজের ব্যবস্থা করলেন।
21. পরে অব্নের দায়ূদকে বললেন, “ইস্রায়েলীয়েরা সকলে যাতে আপনার সংগে একটা চুক্তিতে আসে আর আপনি আপনার ইচ্ছামত তাদের সকলের উপর রাজত্ব করতে পারেন তাই আমার প্রভু মহারাজের কাছে তাদের জড়ো করবার জন্য আমাকে এখনই যেতে দিন।” এই কথা শুনে দায়ূদ অব্নেরকে যেতে দিলেন আর অব্নের শান্তিতে চলে গেলেন।
22. ঠিক সেই সময়ে দায়ূদের লোকেরা ও যোয়াব শত্রুদের আক্রমণ করা শেষ করে অনেক লুটের মাল নিয়ে ফিরে আসলেন। তখন অব্নের হিব্রোণে দায়ূদের কাছে ছিলেন না, কারণ দায়ূদ তাঁকে বিদায় করে দিয়েছিলেন আর তিনি শান্তিতে চলে গিয়েছিলেন।
23. যোয়াব ও তাঁর সংগের সৈন্যেরা ফিরে আসলে পর লোকেরা যোয়াবকে বলল যে, নেরের ছেলে অব্নের রাজার কাছে এসেছিলেন এবং রাজা তাঁকে বিদায় করে দিয়েছেন এবং তিনি শান্তিতে চলে গেছেন।
24. যোয়াব তখন রাজার কাছে গিয়ে বললেন, “এ আপনি কি করলেন? অব্নের তো আপনার কাছে এসেছিল, আপনি কেন তাকে চলে যেতে দিলেন? সে এখন চলে গেছে।
25. আপনি তো নেরের ছেলে অব্নেরকে জানেন; সে আপনার সংগে ছলনা করে আপনার খোঁজ খবর নিতে এবং আপনি কি করছেন না করছেন তা জানতে এসেছিল।”
26. এই বলে যোয়াব দায়ূদের কাছ থেকে বের হয়ে গিয়ে অব্নেরের খোঁজে লোক পাঠালেন। তারা সিরা নামে একটা কূয়ার কাছ থেকে তাঁকে ফিরিয়ে আনল। দায়ূদ কিন্তু এই সব জানতেন না।
27. অব্নের হিব্রোণে ফিরে আসলে পর যোয়াব তাঁর সংগে গোপনে আলাপ করবার ছল করে শহরের ফটকের মধ্যে নিয়ে গেলেন। তারপর তাঁর পেটে আঘাত করে তাঁকে মেরে ফেললেন। এইভাবে তিনি তাঁর ভাই অসাহেলের রক্তের শোধ নিলেন।
28-30. যোয়াব ও তাঁর ভাই অবীশয় অব্নেরকে মেরে ফেললেন, কারণ তিনি তাঁদের ভাই অসাহেলকে গিবিয়োনের যুদ্ধে মেরে ফেলেছিলেন।পরে দায়ূদ সেই খবর পেয়ে বললেন, “নেরের ছেলে অব্নেরের রক্তপাতের ব্যাপারে আমি ও আমার রাজ্য সদাপ্রভুর সামনে চিরদিনের জন্য নির্দোষ। যোয়াব ও তাঁর বাবার বংশের সকলেই যেন সেই রক্তের দায়ী হয়। যোয়াবের বংশে সব সময় যেন কেউ না কেউ পুরুষাংগের স্রাব কিম্বা চর্মরোগে ভোগে, কেউ লাঠিতে ভর দিয়ে চলে, কেউ খুন হয় কিম্বা কেউ খাবারের অভাবে কষ্ট পায়।”
31. এর পর দায়ূদ যোয়াব ও তাঁর সংগের সব লোকদের বললেন, “তোমরা নিজের নিজের কাপড় ছিঁড়ে চট পর এবং শোক প্রকাশ করতে করতে অব্নেরের মৃতদেহের আগে আগে চল।” মৃতদেহ বহনকারী খাটের পিছনে পিছনে রাজা দায়ূদ নিজেও চললেন।
32. অব্নেরকে হিব্রোণে কবর দেওয়া হল। অব্নেরের কবরের কাছে রাজা জোরে জোরে কাঁদতে লাগলেন, আর লোকেরাও সবাই কাঁদতে লাগল।
33. রাজা তখন অব্নেরের বিষয়ে বিলাপের এই গানটা গাইলেন:“বোকা লোকের মতই কি মরলেন অব্নের?