16. এই কথা শুনে সেই তিনজন শক্তিশালী লোক পলেষ্টীয় সৈন্যদলের ভিতর দিয়ে গিয়ে বৈৎলেহমের ফটকের কাছের কূয়াটা থেকে জল তুলে দায়ূদের কাছে নিয়ে গেলেন। কিন্তু দায়ূদ তা খেলেন না; তার বদলে তিনি সেই জল সদাপ্রভুর উদ্দেশে মাটিতে ঢেলে দিলেন।
17. তিনি বললেন, “হে সদাপ্রভু, আমি যে এই জল খাব তা দূরে থাক্। এ কি সেই লোকদের রক্ত নয় যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তা আনতে গিয়েছিল?” দায়ূদ তা খেতে রাজী হলেন না।সেই তিনজন নাম-করা বীরের কাজই ছিল এই রকম।
18. সরূয়ার ছেলে যোয়াবের ভাই অবীশয় ছিলেন সেই তিনজনের উপরে প্রধান। তিনি বর্শা চালিয়ে তিনশো লোককে মেরে ফেলেছিলেন এবং তিনিও ঐ তিনজনের মত নাম-করা হয়ে উঠেছিলেন।
19. তিনি সেই তিনজনের চেয়ে বেশী সম্মান পেয়েছিলেন। সেইজন্য সেই তিনজনের মধ্যে তাঁকে ধরা না হলেও তিনি তাঁদের সেনাপতি হয়েছিলেন।
20. কব্সেলীয় যিহোয়াদার ছেলে বনায় ছিলেন একজন বীর যোদ্ধা। তিনিও বড় বড় কাজ করেছিলেন। মোয়াবীয় অরীয়েলের দুই ছেলেকে তিনি মেরে ফেলেছিলেন। এক তুষার-পড়া দিনে তিনি একটা গর্তের মধ্যে নেমে গিয়ে একটা সিংহকে মেরে ফেলেছিলেন।
21. আবার একজন লম্বা-চওড়া মিসরীয়কেও তিনি মেরে ফেলেছিলেন। সেই মিসরীয়ের হাতে ছিল একটা বর্শা, কিন্তু তবুও তিনি গদা হাতে তার দিকে এগিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি সেই মিসরীয়ের হাত থেকে বর্শাটা কেড়ে নিয়ে সেই বর্শা দিয়ে তাকে মেরে ফেলেছিলেন।
22. যিহোয়াদার ছেলে বনায়ের কাজই ছিল এই রকম। তিনিও সেই তিনজন বীরের মত নাম-করা হয়ে উঠেছিলেন।
23. সেই তিনজনের মধ্যে তাঁকে ধরা না হলেও তিনি “ত্রিশ” নামে দলটার লোকদের চেয়ে বেশী সম্মান পেয়েছিলেন। দায়ূদ তাঁর দেহরক্ষীদের ভার বনায়ের উপরেই দিয়েছিলেন।
24. “ত্রিশ” নামে দলটির মধ্যে ছিলেন যোয়াবের ভাই অসাহেল, বৈৎলেহমের দোদয়ের ছেলে ইল্হানন,
25. হরোদীয় শম্ম, হরোদীয় ইলীকা,
26. পল্টীয় হেলস, তকোয়ীয় ইক্কেশের ছেলে ঈরা,
27. অনাথোতীয় অবীয়েষর, হূশাতীয় মবুন্নয়,
28. অহোহীয় সল্মোন, নটোফাতীয় মহরয়,
29. নটোফাতীয় বানার ছেলে হেলব, বিন্যামীন-গোষ্ঠীর গিবিয়ার রীবয়ের ছেলে ইত্তয়,
30. পিরিয়াথোনীয় বনায়, গাশ উপত্যকার হিদ্দয়,