6. রাজার পাশে রাণীও বসে ছিলেন। রাজা আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমার যেতে কতদিন লাগবে, আর কবেই বা তুমি ফিরে আসবে?” আমি একটা সময়ের কথা বললে পর রাজা সন্তুষ্ট হয়ে আমাকে যাবার অনুমতি দিলেন।
7. আমি রাজাকে আরও বললাম, “যদি মহারাজ খুশী হয়ে থাকেন তবে ইউফ্রেটিস নদীর ওপারের শাসনকর্তাদের কাছে তিনি যেন চিঠি দেন যাতে তাঁরা আমাকে তাঁদের দেশের মধ্য দিয়ে যিহূদায় যেতে দেন।
8. এছাড়া তিনি যেন তাঁর বন-রক্ষক আসফের কাছে একটা চিঠি দেন যাতে তিনি উপাসনা-ঘরের পাশের দুর্গের ফটকের কড়িকাঠের জন্য এবং শহরের দেয়াল ও আমার থাকবার ঘরের জন্য আমাকে কাঠ দেন।” আমার ঈশ্বরের মংগলের হাত আমার উপরে ছিল বলে রাজা আমার সব অনুরোধ রক্ষা করলেন।
9. তিনি আমার সংগে কয়েকজন সেনাপতি ও একদল ঘোড়সওয়ার সৈন্যদের পাঠিয়ে দিলেন। পরে আমি ইউফ্রেটিস নদীর ওপারের শাসনকর্তাদের কাছে গিয়ে রাজার চিঠি দিলাম।
10. ইস্রায়েলীয়দের মংগল করবার জন্য একজন লোক এসেছে শুনে হোরোণীয় সন্বল্লট ও অম্মোনীয় কর্মকর্তা টোবিয় খুব অসন্তুষ্ট হল।
13. সেই রাতে বের হয়ে আমি উপত্যকা-ফটকের মধ্য দিয়ে সাপ-কূয়া ও তার পরে সার-ফটকের দিকে গেলাম এবং যিরূশালেমের ভাংগা দেয়াল ও আগুন দিয়ে ধ্বংস করা ফটকগুলোর অবস্থা ভাল করে দেখলাম।
14. তারপর আমি ফোয়ারা-ফটক ও রাজার পুকুরের দিকে এগিয়ে গেলাম; কিন্তু আমি যে পশুর উপর চড়ে ছিলাম তার সেই জায়গা দিয়ে যাবার জন্য কোন পথ ছিল না।
15. এইজন্য আমি সেই রাতে দেয়ালের অবস্থা দেখতে দেখতে উপত্যকার মধ্য দিয়ে গেলাম এবং উপত্যকা-ফটক দিয়ে আবার শহরে ফিরে আসলাম।
16. আমি কোথায় গেছি বা কি করেছি তা উঁচু পদের কর্মচারীরা জানতে পারেন নি, কারণ আমি তখনও সাধারণ যিহূদীদের বা পুরোহিতদের বা গণ্যমান্য লোকদের বা উঁচু পদের কর্মচারীদের কিম্বা যারা কাজ করবে তাদের কিছুই বলি নি।
17. পরে আমি সেই উঁচু পদের কর্মচারীদের বললাম, “আমরা যে কি রকম দুরবস্থার মধ্যে আছি তা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। যিরূশালেম ধ্বংস হয়ে রয়েছে এবং তার ফটকগুলো আগুন দিয়ে পোড়ানো হয়েছে। আসুন, আমরা যিরূশালেমের দেয়াল আবার গেঁথে তুলি। এতে আর আমরা টিট্কারির পাত্র থাকব না।”
18. আমার ঈশ্বর কিভাবে আমার মংগল করেছেন ও রাজা আমাকে কি বলেছেন তাও আমি তাঁদের জানালাম।উত্তরে তাঁরা বললেন, “আসুন, আমরা গাঁথতে শুরু করি।” এই বলে তাঁরা সেই ভাল কাজ শুরু করতে প্রস্তুত হলেন।