26. সত্যিই গতকাল আমি নাবোতের রক্ত ও তার পুত্রদের রক্ত দেখেছি, মাবুদ এই কথা বলেন, আর মাবুদ বলেন, এই ভূমিতে আমি তোমাকে প্রতিফল দেব। অতএব এখন তুমি ওকে তুলে নিয়ে মাবুদের কালাম অনুসারে ঐ ভূমিতে ফেলে দাও।
27. তখন এহুদার বাদশাহ্ অহসীয় তা দেখে বাগান বাড়ির পথ ধরে পালিয়ে গেলেন; আর যেহূ তাঁর পেছন পেছন গিয়ে বললেন, ওকেও রথের মধ্যে আক্রমণ কর; তখন তারা যিব্লিয়মের নিকটস্থ গূরের আরোহন পথে তাঁকে আঘাত করলো; পরে তিনি মগিদ্দোতে পালিয়ে গিয়ে সেই স্থানে ইন্তেকাল করলেন।
28. আর তাঁর গোলামেরা তাঁকে রথে করে জেরুশালেমে নিয়ে গিয়ে দাউদ নগরে তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে তাঁর জন্য ঠিক করে রাখা কবরে তাঁকে দাফন করলো।
29. অহসিয় আহাবের পুত্র যিহোরামের একাদশ বছরে এহুদায় রাজত্ব করতে আরম্ভ করেছিলেন।
30. পরে যেহূ যিষ্রিয়েলে উপস্থিত হলেন; ঈষেবল এই কথা শুনে সে চোখে অঞ্জন দিয়ে ও মাথায় কেশবেশ করে জানালা দিয়ে দেখছিল,
31. এবং যেহূ দ্বারে প্রবেশ করলে সে তাঁকে বললো, রে সিম্রি! রে প্রভুঘাতক! মঙ্গল তো?
32. যেহূ জানালার দিকে মুখ তুলে বললেন, কে আমার পক্ষে? কে? তখন দুই তিন জন নপুংসক তার দিকে চাইল।
33. আর তিনি হুকুম করলেন, ওকে নিচে ফেলে দাও। তারা তাকে নিচে ফেলে দিল, আর তার কতকটা রক্ত দেয়ালে ও ঘোড়াগুলোর গায়ে ছিট্কে পড়লো; আর তিনি তাকে পদতলে দলিত করলেন।
34. পরে ভিতরে গিয়ে যেহূ ভোজন পান করলেন; আর বললেন, তোমরা গিয়ে ঐ বদদোয়াগ্রস্তার খোঁজ নিয়ে তাকে দাফন কর, কেননা সে শাহ্জাদী।
35. তাতে লোকেরা তাকে দাফন করতে গেল, কিন্তু তার মাথার খুলি, পা ও হাত ছাড়া আর কিছুই পাওয়া গেল না।