7. তারপর মিসরের বাদশাহ্ তাঁর দেশের বাইরে আর আসলেন না, কেননা মিসরের নদী থেকে ফোরাত নদী পর্যন্ত মিসরের বাদশাহ্র যত অধিকার ছিল, সেই সবই ব্যাবিলনের বাদশাহ্ হরণ করেছিলেন।
8. যিহোয়াখীন আঠার বছর বয়সে রাজত্ব করতে আরম্ভ করেন এবং জেরুশালেমে তিন মাস রাজত্ব করেন; তাঁর মায়ের নাম নহুষ্টা, তিনি জেরুশালেম-নিবাসী ইল্নাথনের কন্যা।
9. যিহোয়াখীন তাঁর পিতার সমস্ত কাজ অনুসারে মাবুদের দৃষ্টিতে যা মন্দ, তা-ই করতেন।
10. ঐ সময়ে ব্যাবিলনের বাদশাহ্ বখতে-নাসারের গোলামেরা জেরুশালেমে এসে নগর অবরুদ্ধ করলো।
11. যখন তাঁর গোলামেরা নগর অবরোধ করছিল তখন ব্যাবিলনের বাদশাহ্ বখতে-নাসার নগরের কাছে আসলেন।
12. পরে এহুদার বাদশাহ্ যিহোয়াখীন, তাঁর মা, গোলামেরা, কর্মচারীরা ও কর্মকর্তারা ব্যাবিলনের বাদশাহ্র কাছে বাইরে গেলেন; আর ব্যাবিলনের বাদশাহ্ তাঁর রাজত্বের অষ্টম বছরে তাঁকে বন্দী করলেন।
13. আর মাবুদ যেমন বলেছিলেন, তেমনি তিনি সেই স্থান থেকে মাবুদের গৃহের সমস্ত ধন ও রাজপ্রাসাদের সমস্ত ধন নিয়ে গেলেন এবং ইসরাইলের বাদশাহ্ সোলায়মান মাবুদের বায়তুল মোকাদ্দসে যেসব সোনার পাত্র তৈরি করেছিলেন সেগুলোও বিনষ্ট করলেন।
14. আর তিনি জেরুশালেমের সমস্ত লোক, সমস্ত কর্মকর্তা ও সমস্ত বলবান বীর, অর্থাৎ দশ হাজার বন্দী এবং সমস্ত শিল্পকার ও কর্মকারকে নিয়ে গেলেন; দেশের দীন দরিদ্র লোক ছাড়া আর কেউ অবশিষ্ট থাকলো না।
15. তিনি যিহোয়াখীনকে ব্যাবিলনে নিয়ে গেলেন; এবং বাদশাহ্র মা, বাদশাহ্র স্ত্রীদের, তাঁর কর্মকর্তাদের ও দেশের পরাক্রমী লোকদেরকে জেরুশালেম থেকে ব্যাবিলনে বন্দী করে নিয়ে গেলেন।
16. আর ব্যাবিলনের বাদশাহ্ সমস্ত পরাক্রমশালী লোককে অর্থাৎ সাত হাজার লোককে এবং শিল্পকার ও কর্মকার এক হাজার লোককে বন্দী করে ব্যাবিলনে নিয়ে গেলেন; তারা সকলে শক্তিশালী ও যোদ্ধা ছিল।
17. পরে ব্যাবিলনের বাদশাহ্ যিহোয়াখীনের চাচা মত্তনিয়কে তাঁর পদে বাদশাহ্ করলেন ও তাঁর নাম পরিবর্তন করে সিদিকিয় রাখলেন।
18. সিদিকিয় একুশ বছর বয়সে রাজত্ব করতে আরম্ভ করেন এবং এগার বছর জেরুশালেমে রাজত্ব করেন; তাঁর মায়ের নাম হমূটল, তিনি লিব্না-নিবাসী ইয়ারমিয়ার কন্যা।
19. যিহোয়াকীমের সকল কাজ অনুসারে সিদিকিয়ও মাবুদের দৃষ্টিতে যা মন্দ, তা-ই করতেন।
20. কারণ মাবুদের ক্রোধের দরুন তিনি তাদেরকে তাঁর সম্মুখ থেকে দূরে ফেলে দিলেন, সমগ্র জেরুশালেম ও এহুদায় এরকম ঘটনা ঘটল। আর সিদিকিয় ব্যাবিলনের বাদশাহ্র বিদ্রোহী হলেন।