21. আর যেহূ ইসরাইলের সর্বত্র লোক পাঠালে বালের যত পূজক ছিল, সকলে এল, কেউ অনুপস্থিত রইলো না। পরে তারা বালের গৃহে প্রবেশ করলে গৃহের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত পরিপূর্ণ হল।
22. তখন তিনি বস্ত্রাগারের নেতাকে বললেন, বালের সমস্ত পূজকের জন্য পোশাক বের করে আন। তাতে সে তাদের জন্য পোশাক বের করে আনলো।
23. পরে যেহূ ও রেখবের পুত্র যিহোনাদব বালের মন্দিরে গেলেন; তিনি বালের পূজকদেরকে বললেন, তদন্ত করে দেখ, এখানে তোমাদের সঙ্গে বালের পূজক ছাড়া মাবুদের গোলামদের মধ্যে কেউ যেন না থাকে।
24. আর ওরা পশু কোরবানী ও পোড়ান-কোরবানী করতে ভিতরে গেল। এই দিকে যেহূ আশী জনকে বাইরে রেখে বলেছিলেন, ঐ যে লোকদেরকে আমি তোমাদের হাতে তুলে দিলাম, ওদের এক জনও যদি পালিয়ে বাঁচে, তবে যে তাকে ছেড়ে দেবে ওর প্রাণের জন্য তার প্রাণ যাবে।
25. পরে পোড়ানো-কোরবানীর কাজ শেষ হলে যেহূ ধাবক সেনাদের ও সেনানীদেরকে বললেন, ভিতরে যাও, ওদেরকে হত্যা কর, এক জনকেও বাইরে আসতে দিও না। তখন তারা তলোয়ারের আঘাতে তাদেরকে আঘাত করলো; পরে ধাবক সেনারা ও সেনানীরা তাদেরকে বাইরে ফেলে দিল; পরে তারা বাল-মন্দিরের পূরীতে গেল;
26. আর বালের মন্দির থেকে সমস্ত স্তম্ভ বের করে পুড়িয়ে ফেললো।
27. তারা বালের স্তম্ভটি ভেঙ্গে ফেললো এবং বালের মন্দির ভেঙ্গে সেখানে একটি পায়খানা প্রস্তুত করলো, তা আজও আছে।
28. এভাবে যেহূ ইসরাইলের মধ্য থেকে বালকে উচ্ছিন্ন করলেন।
29. তবুও নবাটের পুত্র যে ইয়ারাবিম ইসরাইলকে গুনাহ্ করিয়েছিলেন, তাঁর গুনাহ্বস্তুর অর্থাৎ বেথেলে ও দানে অবস্থিত সোনার দুটি বাছুরের পিছনে চলা থেকে যেহূ ফিরলেন না।
30. আর মাবুদ যেহূকে বললেন, আমার দৃষ্টিতে যা ন্যায্য, তা করে তুমি ভাল কাজ করেছ এবং আমার মনে যা যা ছিল, আহাব-কুলের প্রতি সমস্তই করেছ, এজন্য চতুর্থ পুরুষ পর্যন্ত তোমার বংশ ইসরাইলের সিংহাসনে বসবে।