7. পরে ইউসিয়া লোকদের, উপস্থিত সকলকে, পাল থেকে কেবল ঈদুল ফেসাখের কোরবানীর জন্য সংখ্যায় ত্রিশ হাজার ভেড়ার বাচ্চা ও ছাগলের বাচ্চা এবং তিন হাজার ষাঁড় দিলেন; এই সবই বাদশাহ্র সম্পত্তি থেকে দেওয়া হল।
8. আর তার কর্মকর্তারা ইচ্ছাপূর্বক লোকদের, ইমামদের ও লেবীয়দেরকে দান করলেন। হিল্কিয়, জাকারিয়া ও যিহীয়েল, আল্লাহ্র গৃহের এই প্রধান কর্মকর্তারা ইমামদেরকে ঈদুল ফেসাখের কোরবানীর জন্য দুই হাজার ছয় শত ছাগল-ভেড়ার বাচ্চা ও পাঁচ শত ষাঁড় দিলেন।
9. আর কেনানীয় এবং শমরিয় ও নথনেল নামে তাঁর দুই ভাই, আর হশবিয়, যীয়ীয়েল ও যোষাবদ, লেবীয়দের এই নেতৃবর্গ লেবীয়দেরকে ঈদুল ফেসাখের কোরবানীর জন্য পাঁচ হাজার ছাগল-ভেড়ার বাচ্চা ও পাঁচ শত ষাঁড় দিলেন।
10. এভাবে সেবাকর্মের আয়োজন হল, আর বাদশাহ্র হুকুম অনুসারে ইমামেরা যার যার স্থানে ও লেবীয়েরা যার যার পালা অনুসারে দাঁড়ালো।
11. আর ঈদুল ফেসাখের সমস্ত পশু কোরবানী করা হল এবং ইমামেরা তাদের হাত থেকে রক্ত নিয়ে ছিটিয়ে দিল ও লেবীয়েরা পশুদের চামড়া ছাড়াল।
12. আর মূসার কিতাবে যেমন লেখা আছে, সেই অনুসারে মাবুদের উদ্দেশে কোরবানী করার জন্য তারা লোকদের পিতৃকুলের বিভাগ অনুসারে সকলকে দেবার জন্য পোড়ানো-কোরবানী পৃথক করলো এবং ষাঁড়গুলোর বিষয়েও তা-ই করলো।
13. পরে তারা বিধিমতে ঈদুল ফেসাখের কোরবানী আগুনে ঝল্সে নিল; আর পবিত্র সমস্ত কোরবানীর গোশ্ত পাত্র, হাঁড়ি ও কড়াইতে রান্না করলো এবং সমস্ত লোককে দ্রুততার সঙ্গে পরিবেশন করলো।
14. এর পরে তাদের ও ইমামদের জন্য আয়োজন করলো, কেননা হারুন সন্তান ইমামেরা পোড়ানো-কোরবানী ও চর্বি পোড়াতে রাত পর্যন্ত ব্যস্ত ছিল; অতএব লেবীয়েরা নিজেদের ও হারুন সন্তান ইমামদের জন্য আয়োজন করলো।
15. আর দাউদ, আসফ, হেমন ও রাজ-দর্শক যিদূথূনের হুকুম অনুসারে আসফ-সন্তান গায়কেরা যার যার স্থানে ছিল ও দ্বারপালেরা প্রতি দ্বারে ছিল; তাদের নিজ নিজ সেবাকর্ম ছেড়ে যাবার প্রয়োজন হল না, যেহেতু তাদের লেবীয় ভাইয়েরা তাদের জন্য আয়োজন করেছিল।
16. এভাবে ইউসিয়া বাদশাহ্র হুকুম অনুসারে ঈদুল ফেসাখ পালন ও মাবুদের কোরবানগাহ্র উপরে পোড়ানো-কোরবানী করার জন্য সেদিন মাবুদের সমস্ত সেবা-কর্মের আয়োজন হল।
17. ঐ সময়ে উপস্থিত বনি-ইসরাইল ঈদুল ফেসাখ এবং সাত দিন খামিহীন রুটির উৎসব পালন করলো।
18. শামুয়েল নবীর সময় থেকে ইসরাইলে এই রকম ঈদুল ফেসাখ পালিত হয় নি; ইউসিয়া, ইমাম, লেবীয় এবং সমস্ত এহুদা ও ইসরাইলের উপস্থিত লোকেরা ও জেরুশালেম-নিবাসীরা যেভাবে ঈদুল ফেসাখ পালন করলো, ইসরাইলের কোন বাদশাহ্ সেইভাবে ঈদ পালন করেন নি।
19. ইউসিয়ার রাজত্বের অষ্টাদশ বছরে এই ঈদুল ফেসাখ পালিত হল।
20. ইউসিয়া এবাদতখানার সমস্ত কাজ শেষ করার পর, মিসরের বাদশাহ্ নখো ফোরাত নদীর নিকটস্থ কর্কমীশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য আসছিলেন, আর ইউসিয়া তার বিরুদ্ধে যাত্রা করলেন।
21. তখন তিনি দূত দ্বারা এই কথা বলে পাঠালেন, হে এহুদার বাদশাহ্, তোমার সঙ্গে আমার শত্রুতা কি? আমি আজ তোমার বিরুদ্ধে আসি নি, কিন্তু যে কুলের সঙ্গে আমার যুদ্ধ বেঁধেছে, তার বিরুদ্ধে যাচ্ছি; আর আল্লাহ্ আমাকে ত্বরা করতে বলেছেন; অতএব তুমি আমার সহবর্তী আল্লাহ্র বিরূদ্ধাচরণ থেকে ক্ষান্ত হও, নইলে তিনি তোমাকে ধ্বংস করবেন।
22. তবুও ইউসিয়া তাঁর থেকে বিমুখ হন নি, বরং তার সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য ছদ্মবেশ ধারণ করলেন; তিনি আল্লাহ্র মুখ বের হওয়া নখোর কথায় কান না দিয়ে মগিদ্দো উপত্যকায় যুদ্ধ করতে গেলেন।
23. পরে তীরন্দাজেরা বাদশাহ্ ইউসিয়াকে তীর মারল; তখন বাদশাহ্ তাঁর লোকদেরকে বললেন, আমাকে নিয়ে যাও, কেননা আমি গুরুতর আহত হয়েছি।