24. মাবুদ এই কথা বলেন, দেখ, আমি এই স্থানের ও এখানকার নিবাসীদের উপরে অমঙ্গল আনবো, এহুদা-রাজের সাক্ষাতে যে কিতাব ওরা পাঠ করেছে, তাতে লেখা সমস্ত বদদোয়া বর্তাব।
25. কারণ তারা আমাকে ত্যাগ করেছে এবং অন্য দেবতাদের উদ্দেশে ধূপ জ্বালিয়েছে, এভাবে নিজ নিজ হাতের সমস্ত কাজ দিয়ে আমাকে অসন্তুষ্ট করেছে; সেজন্য এই স্থানের উপর আমার গজবের আগুন বর্ষিত হল, নিভানো যাবে না।
26. কিন্তু এহুদার বাদশাহ্, যিনি মাবুদের কাছে জিজ্ঞাসা করতে তোমাদেরকে পাঠিয়েছেন, তাঁকে এই কথা বল, ইসরাইলের আল্লাহ্ মাবুদ এই কথা বলেন, তুমি যেসব কালাম শুনেছ, তার বিষয় কথা এই—
27. এই স্থানের ও এখানকার অধিবাসীদের বিরুদ্ধে আমি যেসব কথা বলেছি, তা শোনামাত্র তোমার অন্তঃকরণ কোমল হয়েছে, তুমি আল্লাহ্র সাক্ষাতে নিজেকে অবনত করেছ; তুমি আমার সাক্ষাতে নিজেকে অবনত করেছ এবং তোমার কাপড় ছিঁড়ে আমার সম্মুখে কান্নাকাটি করেছ, এজন্য মাবুদ বলেন, আমিও তোমার কথা শুনলাম।
28. দেখ, আমি তোমার পূর্বপুরুষদের কাছে তোমাকে সংগ্রহ করবো; তুমি শান্তিতে তোমার কবরে সংগৃহীত হবে; এবং এই স্থানের ও এখানকার অধিবাসীদের উপরে আমি যেসব অমঙ্গল আনবো, তোমার চোখ সেসব দেখবে না। পরে তারা আবার বাদশাহ্কে এই কথার সংবাদ দিলেন।
29. আর বাদশাহ্ লোক পাঠিয়ে এহুদা ও জেরুশালেমের সমস্ত প্রধান ব্যক্তিবর্গকে একত্র করলেন।
30. পরে বাদশাহ্ মাবুদের গৃহে গেলেন এবং এহুদার সমস্ত লোক, জেরুশালেম-নিবাসী, ইমাম ও লেবীয়েরা, মহান ও ক্ষুদ্র সমস্ত লোক গমন করলো; এবং তিনি মাবুদের গৃহে পাওয়া নিয়ম-কিতাবের সমস্ত কথা তাদের উপস্থিতিতে পাঠ করলেন।
31. পরে বাদশাহ্ তাঁর স্থানে দাঁড়িয়ে মাবুদের অনুগামী হবার এবং সমস্ত অন্তঃকরণ ও সমস্ত প্রাণের সঙ্গে তাঁর হুকুম, নির্দেশ ও বিধি পালন করার জন্য, এই কিতাবে লেখা নিয়মের কথানুসারে কাজ করার জন্য মাবুদের সাক্ষাতে নিয়ম স্থির করলেন।
32. আর জেরুশালেম ও বিন্-ইয়ামীনের যত লোক উপস্থিত ছিল, তাদের সকলকে তিনি অঙ্গীকার করালেন। তাতে জেরুশালেম-নিবাসীরা আল্লাহ্র, তাদের পূর্বপুরুষদের আল্লাহ্র, নিয়মানুসারে কাজ করতে লাগল।
33. আর ইউসিয়া বনি-ইসরাইলদের অধিকৃত সমস্ত দেশ থেকে সমস্ত ঘৃণার বস্তু দূর করলেন এবং ইসরাইল মধ্যে যত লোক উপস্থিত ছিল তাদের সকলকে দিয়ে তাদের আল্লাহ্ মাবুদের এবাদত করালেন। তিনি যত দিন ছিলেন, তত দিন তারা তাদের পূর্বপুরুষদের আল্লাহ্ মাবুদের পিছনে চলা থেকে নিবৃত্ত হল না।