3. বস্তুত তাঁর পিতা হিষ্কিয় যেসব উচ্চস্থলী ভেঙে ফেলেছিলেন, তিনি সেগুলো পুনর্বার নির্মাণ করলেন; বাল দেবতাদের জন্য কোরবানগাহ্ প্রস্তুত করলেন এবং আশেরা-মূর্তি তৈরি করলেন আর আসমানের সমস্ত বাহিনীর কাছে সেজ্দা ও তাদের সেবা করলেন।
4. আর মাবুদ যে গৃহের উদ্দেশে বলেছিলেন, জেরুশালেমে আমার নাম চিরকাল থাকবে, মাবুদের সেই গৃহে তিনি কতকগুলো কোরবানগাহ্ তৈরি করলেন।
5. আর তিনি মাবুদের গৃহের দুই প্রাঙ্গণে আসমানের সমস্ত বাহিনীর জন্য কোরবানগাহ্ তৈরি করলেন।
6. আর তিনি তাঁর সন্তানদেরকে হিন্নোম-সন্তানের উপত্যকায় আগুনের মধ্যে দিয়ে গমন করালেন; আর গণকতা, মোহকের ব্যবহার ও মায়াক্রিয়া করতেন এবং ভূতড়িয়া ও গুনিনদেরকে রাখতেন; তিনি মাবুদের দৃষ্টিতে বহুল কদাচরণ করে তাঁকে অসন্তুষ্ট করলেন।
7. আর তিনি তাঁর তৈরি একটি খোদাই-করা মূর্তি আল্লাহ্র সেই গৃহে স্থাপন করলেন, যার বিষয়ে আল্লাহ্ দাউদ ও তাঁর পুত্র সোলায়মানকে এই কথা বলেছিলেন, আমি এই গৃহে ও ইসরাইলের সমস্ত বংশের মধ্যে আমার মনোনীত এই জেরুশালেমে আমার নাম চিরকালের জন্য স্থাপন করবো;
8. আর আমি তোমাদের পূর্বপুরুষদের জন্য যে দেশ নির্ধারণ করেছি, সেই দেশ থেকে ইসরাইলের নিবাস আর সরিয়ে দেব না; কেবল যদি তারা আমি তাদেরকে যেসব হুকুম দিয়েছি, অর্থাৎ আমার গোলাম মূসার মধ্য দিয়ে তাদেরকে যে সমস্ত শরীয়ত, বিধি ও অনুশাসন দিয়েছি, সেই অনুসারে যত্নপূর্বক চলে।
9. তবুও মানশা এহুদাকে ও জেরুশালেম-নিবাসীদেরকে বিপথগামী করলেন, তাতে মাবুদ বনি-ইসরাইলদের সম্মুখ থেকে যে জাতিদেরকে বিনষ্ট করেছিলেন, ওরা তাদের চেয়ে বেশি কদাচরণ করতো।
10. আর মাবুদ মানশা ও তাঁর লোকদের কাছে কথা বলতেন, কিন্তু তাঁরা কান দিতেন না।
11. এজন্য মাবুদ তাঁদের বিরুদ্ধে আসেরিয়ার বাদশাহ্র সেনাপতিদেরকে নিয়ে আসলেন; আর তারা মানশাকে হাতকড়া দিয়ে তাঁকে শিকল দিয়ে বেঁধে ব্যাবিলনে নিয়ে গেল।
12. তখন সংকটাপন্ন হয়ে তিনি তাঁর আল্লাহ্ মাবুদের কাছে ফরিয়াদ জানালেন, ও তাঁর পূর্বপুরুষদের আল্লাহ্র সম্মুখে নিজেকে অতিশয় অবনত করলেন।
13. এভাবে তাঁর কাছে মুনাজাত করলে তিনি তাঁর মুনাজাত গ্রাহ্য করলেন, তাঁর ফরিয়াদ শুনে তাঁকে পুনর্বার জেরুশালেমে তাঁর রাজ্যে আনলেন। তখন মানশা জানতে পারলেন যে, মাবুদই আল্লাহ্।