12. তখন তালুত বললেন, হে অহীটূবের পুত্র, শোন। তিনি জবাব দিলেন, হে আমার মালিক, দেখুন, এই আমি।
13. তালুত তাঁকে বললেন, তুমি ও ইয়াসিরের পুত্র আমার বিরুদ্ধে কেন চক্রান্ত করলে? সে যেন আজকের মত আমার বিরুদ্ধে ঘাঁটি বসায়, সেজন্য তুমি তাকে রুটি ও তলোয়ার দিয়েছ এবং তার জন্য আল্লাহ্র কাছে জিজ্ঞাসা করেছ।
14. অহীমেলক বাদশাহ্কে উত্তর করলেন, আপনার সমস্ত গোলামের মধ্যে কে দাউদের মত বিশ্বস্ত? তিনি তো বাদশাহ্র জামাতা, আপনার গুপ্ত মন্ত্রণা জানবার অধিকারী ও আপনার বাড়ির মধ্যে এক জন সম্মানিত লোক।
15. আমি কি এই প্রথমবার তাঁর জন্য আল্লাহ্র কাছে জিজ্ঞাসা করেছি? কখনই নয়; বাদশাহ্ আপনার এই গোলাম ও আমার সমস্ত পিতৃকুলকে দোষ দেবেন না, কেননা আপনার গোলাম এই বিষয়ের কম বা বেশি কিছুই জানে না।
16. কিন্তু বাদশাহ্ বললেন, হে অহীমেলক, তোমাকে ও তোমার সমস্ত পিতৃকুলকে মরতে হবে।
17. তখন বাদশাহ্ তাঁর চারদিকে দণ্ডায়মান সৈন্যদেরকে বললেন, তোমরা ফিরে দাঁড়াও, মাবুদের এই ইমামদের হত্যা কর: কেননা এরাও দাউদকে সাহায্য করে এবং তার পলায়নের কথা জেনেও আমাকে জানায় নি; কিন্তু মাবুদের ইমামদের আক্রমণ করতে বাদশাহ্র গোলামেরা সম্মত হল না।
18. পরে বাদশাহ্ দোয়েগকে বললেন, তুমি ফিরে এই ইমামদের আক্রমণ কর। তখন ইদোমীয় দোয়েগ ফিরে দাঁড়াল ও ইমামদের আক্রমণ করে সেই দিনে মসীনা-সূতার এফোদ পরা পঁচাশী জনকে হত্যা করলো।
19. পরে সে ইমামদের নোব নগরে তলোয়ার দিয়ে আঘাত করলো; সে স্ত্রী, পুরুষ, বালক-বালিকা ও স্তন্যপায়ী শিশু এবং গরু, গাধা ও সমস্ত ভেড়া তলোয়ারের আঘাতে হত্যা করলো।
20. ঐ সময়ে অহীটূবের পুত্র অহীমেলকের একটি মাত্র পুত্র রক্ষা পেলেন; তাঁর নাম অবিয়াথর; তিনি দাউদের কাছে পালিয়ে গেলেন।
21. অবিয়াথর দাউদকে এই সংবাদ দিলেন যে, তালুত মাবুদের ইমামদের হত্যা করেছেন।
22. দাউদ অবিয়াথরকে বললেন, ইদোমীয় দোয়েগ সে স্থানে থাকাতে আমি সেই দিনই বুঝেছিলাম যে, সে নিশ্চয়ই তালুতকে সংবাদ দেবে। আমিই তোমার পিতৃকুলের সমস্ত প্রাণীর হত্যার কারণ।
23. তুমি আমার সঙ্গে থাক, ভয় পেয়ো না; কেননা যে আমার প্রাণনাশের চেষ্টা করছে, সে তোমারও প্রাণনাশের চেষ্টা করছে; কিন্তু আমার সঙ্গে তুমি নিরাপদ থাকবে।