11. টায়ারের বাদশাহ্ হীরম সোলায়মানের সমস্ত বাসনা অনুসারে এরস কাঠ, দেবদারু কাঠ ও সোনা যুগিয়েছিলেন, তাই তখন বাদশাহ্ সোলায়মান হীরমকে গালীল দেশস্থ বিশটি নগর দিলেন।
12. আর হীরম সোলায়মানের দেওয়া সেসব নগর দেখবার জন্য টায়ার থেকে আসলেন, কিন্তু সেগুলো তাঁর দৃষ্টিতে তুষ্টিজনক হল না।
13. তিনি বললেন, হে আমার ভাই, এসব কেমন নগর আমাকে দিলে? আর তিনি সেগুলোর নাম কাবূল দেশ রাখলেন; আজও সেই নাম রয়েছে।
14. আর হীরম এক শত বিশ তালন্ত সোনা বাদশাহ্কে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।
15. আর সোলায়মান মাবুদের গৃহ, নিজের বাড়ি, মিল্লো, জেরুশালেমের প্রাচীর, হাৎসোর, মগিদ্দো ও গেষর গাঁথবার জন্য যে সমস্ত কর্মাধীন গোলাম সংগ্রহ করেছিলেন তার বৃত্তান্ত এই:
16. মিসরের বাদশাহ্ ফেরাউন এসে গেষর অধিকার করে আগুনে পুড়িয়ে দেন এবং সেই নগর-নিবাসী কেনানীয়দেরকে হত্যা করেন, পরে তা যৌতুক হিসেবে তাঁর কন্যা সোলায়মানের স্ত্রীকে দেন।
17. আর সোলায়মান গেষর ও নিম্নস্থিত বৈৎ-হোরোণ,
18. এবং বালৎ, আর দেশের মরুভূমিস্থ তামর,
19. এবং সোলায়মানের সমস্ত ভাণ্ডার-নগর এবং তাঁর রথগুলো ও ঘোড়সওয়ারদের সমস্ত নগর, আর জেরুশালেমে, লেবাননে ও তাঁর অধিকার দেশের সর্বত্র যা যা নির্মাণ করতে সোলায়মানের বাসনা ছিল, তিনি সেসব নির্মাণ করলেন।
20. আমোরীয়, হিট্টিয়, পরিষীয়, হিব্বীয় ও যিবূষীয় যেসব লোক অবশিষ্ট ছিল, যারা বনি-ইসরাইল নয়,
21. যাদেরকে বনি-ইসরাইল নিঃশেষে বিনষ্ট করতে পারেন নি, দেশে অবশিষ্ট সেই লোকদের সন্তানদের সোলায়মান তাঁর কর্মাধীন গোলাম করে সংগ্রহ করলেন; তারা আজ পর্যন্ত তা-ই করছে।
22. কিন্তু সোলায়মান বনি-ইসরাইলদের মধ্যে কাউকেও গোলাম করলেন না; তারা যোদ্ধা, তাঁর কর্মকর্তা, জনাধ্যক্ষ, সেনানী এবং তাঁর রথগুলোর ও ঘোড়সওয়ারদের নেতা হল।
23. তাদের মধ্যে পাঁচ শত পঞ্চাশ জন সোলায়মানের কাজে নিযুক্ত প্রধান নেতা ছিল; তারা কর্মরত লোকদের উপরে কর্তৃত্ব করতো।
24. আর ফেরাউনের কন্যা দাউদ-নগর থেকে তাঁর জন্য নির্মিত বাড়িতে উঠে আসলেন; সেই সময় সোলায়মান মিল্লো গাঁথলেন।