19. তবুও তুমি সেই গৃহ নির্মাণ করবে না, কিন্তু তোমার বংশ থেকে উৎপন্ন পুত্রই আমার নামের উদ্দেশে গৃহ নির্মাণ করবে।
20. মাবুদ এই যে কথা বলেছিলেন, তা সফল করলেন; মাবুদের ওয়াদা অনুসারে আমি আমার পিতা দাউদের পদ লাভ করে ও ইসরাইলের সিংহাসনে উপবিষ্ট হয়ে ইসরাইলের আল্লাহ্ মাবুদের নামের উদ্দেশে এই গৃহ নির্মাণ করেছি।
21. আর মাবুদ আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে মিসর দেশ থেকে বের করার সময়ে তাদের সঙ্গে যে নিয়ম করেছিলেন, তার আধার যে সিন্দুক, সেই সিন্দুকের জন্য আমি এখানে একটি স্থান নির্ধারণ করেছি।
22. পরে সোলায়মান সমস্ত ইসরাইল-সমাজের সাক্ষাতে মাবুদের কোরবানগাহ্র সম্মুখে দাঁড়িয়ে বেহেশতের দিকে দু’হাত তুললেন;
23. আর তিনি বললেন, হে মাবুদ, ইসরাইলের আল্লাহ্, উপরিস্থ বেহেশতে বা নিচস্থ দুনিয়াতে তোমার মত আর আল্লাহ্ নেই। সর্বান্তঃকরণে যারা তোমার সাক্ষাতে চলে, তোমার সেই গোলামদের পক্ষে তুমি নিয়ম পালন ও অটল মহব্বত প্রকাশ করে থাক;
24. তুমি তোমার গোলাম আমার পিতা দাউদের কাছে যা ওয়াদা করেছিলে তা পালন করেছ, যা নিজের মুখে বলেছিলে তা নিজের হাতে সিদ্ধ করেছ, যেমন আজ দেখা যাচ্ছে।
25. এখন, হে মাবুদ, ইসরাইলের আল্লাহ্, তুমি তোমার গোলাম আমার পিতা দাউদের কাছে যা ওয়াদা করেছিলে, তা রক্ষা কর; তুমি বলেছিলে, আমার দৃষ্টিতে ইসরাইলের সিংহাসনে বসতে তোমার (বংশে) লোকের অভাব হবে না; কেবলমাত্র যদি আমার সাক্ষাতে তুমি যেমন চলেছ, তোমার সন্তানরা আমার সাক্ষাতে তেমনি চলবার জন্য যার যার পথে সাবধান থাকে।
26. এখন, হে ইসরাইলের আল্লাহ্, আরজ করি, তোমার গোলাম আমার পিতা দাউদের কাছে যে কথা তুমি বলেছিলে, তা সফল হোক।
27. কিন্তু আল্লাহ্ কি সত্যি সত্যিই দুনিয়াতে বাস করবেন? দেখ, বেহেশত ও বেহেশতের বেহেশত তোমাকে ধারণ করতে পারে না, তবে আমার নির্মিত এই গৃহ কি পারবে?
28. তবুও হে মাবুদ, আমার আল্লাহ্, তুমি তোমার গোলামের মুনাজাতে ও বিনতিতে মনোযোগ দাও, তোমার গোলাম আজ তোমার কাছে যে কাতরোক্তি ও মুনাজাত করছে, তা শোন।
29. যে স্থানের বিষয়ে তুমি বলেছ, ‘আমার নাম সেই স্থানে থাকবে;’ সেই স্থানের অর্থাৎ এই গৃহের প্রতি তোমার চোখ দিনরাত উন্মীলিত থাকুক এবং এই স্থানের অভিমুখে তোমার গোলাম যে মুনাজাত করে, তা শুনো।
30. আর তোমার গোলাম ও তোমার লোক ইসরাইল যখন এই স্থানের উদ্দেশে মুনাজাত করবে, তখন তাদের বিনতিতে কান দিও; তোমার নিবাস-স্থান বেহেশতে তা শুনো এবং শুনে তা মাফ করো।
31. কেউ তাঁর প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে গুনাহ্ করলে যদি তাকে কসম খেয়ে শপথ করাবার জন্য বাধ্য করা হয়, আর সে এসে এই গৃহে তোমার কোরবানগাহ্র সম্মুখে সেই কসম খায়;
32. তবে তুমি বেহেশতে তা শুনো এবং নিষ্পত্তি করে তোমার গোলামদের বিচার করো; দোষীকে দোষী করে তার কাজের ফল তার মাথায় বর্তিয়ে এবং ধার্মিককে ধার্মিক করে তার ধার্মিকতা অনুযায়ী ফল দিও।
33. তোমার লোক ইসরাইল তোমার বিরুদ্ধে গুনাহ্ করার দরুন দুশমনের সম্মুখে আহত হওয়ার পর যদি পুনর্বার তোমার দিকে ফেরে এবং এই গৃহে তোমার নামের প্রশংসা-গজল করে তোমার কাছে মুনাজাত ও ফরিয়াদ করে;
34. তবে তুমি বেহেশতে তা শুনো এবং তোমার লোক ইসরাইলের গুনাহ্ মাফ করো, আর তাদের পূর্বপুরুষদের এই যে দেশ দিয়েছ, এখানে পুনর্বার তাদেরকে এনো।
35. তোমার বিরুদ্ধে তাদের গুনাহ্র দরুন যদি আসমান রুদ্ধ হয়, বৃষ্টি না হয়, আর লোকেরা যদি এই স্থানের উদ্দেশে মুনাজাত করে, তোমার নামের প্রশংসা-গজল করে এবং তোমা থেকে দুঃখ পাওয়াতে যার যার গুনাহ্ থেকে ফিরে;