5. পরে সে বনি-ইসরাইলদের মণ্ডলীর কাছে গুনাহ্-কোরবানী হিসেবে দু’টি ছাগল ও পোড়ানো-কোরবানীর জন্য একটি ভেড়া নেবে।
6. আর হারুন নিজের জন্য গুনাহ্-কোরবানীর ষাঁড় এনে নিজের ও নিজের কুলের জন্য কাফ্ফারা দেবে।
7. পরে সেই দু’টি ছাগল নিয়ে জমায়েত-তাঁবুর দরজা সমীপে মাবুদের সম্মুখে উপস্থিত করবে।
8. পরে হারুন ঐ দু’টি ছাগলের বিষয়ে গুলিবাঁট করবে; এর এক অংশ মাবুদের জন্য ও অন্যগুলো আজাজিলের জন্য হবে।
9. গুলিবাঁট দ্বারা যে ছাগল মাবুদের জন্য হয়, হারুন তাকে নিয়ে গুনাহ্-কোরবানী হিসেবে কোরবানী করবে।
10. কিন্তু গুলিবাঁট দ্বারা যে ছাগলটি আজাজিলের জন্য নির্ধারিত হয়, সেটিকে মাবুদের সম্মুখে তাকে জীবিত উপস্থিত করতে হবে যেন সেটি কাফ্ফারা করার জন্য মরুভূমিতে প্রেরিত হতে পারে।
11. পরে হারুন নিজের গুনাহ্-কোরবানীর ষাঁড় এনে নিজের ও নিজের কুলের জন্য কাফ্ফারা দেবে, ফলত সে তার গুনাহ্-কোরবানীর জন্য আনা সেই বাছুরটিকে জবেহ্ করবে;
12. আর মাবুদের সম্মুখ থেকে, কোরবানগাহ্র উপর থেকে, জ্বলন্ত অঙ্গারে পূর্ণ ধূপদানী ও এক মুষ্টি মিহি করা সুগন্ধি ধূপ নিয়ে পর্দার ভিতরে যাবে।
13. আর ঐ ধূপ মাবুদের সম্মুখে আগুনে দেবে; তাতে শরীয়ত-সিন্দুকের উপরিস্থ গুনাহ্ আবরণ ধূপের ধোঁয়ার মেঘে আচ্ছন্ন হলে সে মরবে না।
14. পরে সে ঐ বাছুরটির কিঞ্চিৎ রক্ত নিয়ে গুনাহ্ আবরণের পূর্ব পাশে আঙ্গুল দ্বারা ছিটিয়ে দেবে এবং আঙ্গুল দ্বারা গুনাহ্ আবরণের সম্মুখে ঐ রক্ত সাতবার ছিটিয়ে দেবে।
15. পরে সে লোকদের গুনাহ্-কোরবানীর ছাগলটি জবেহ্ করে তার রক্ত পর্দার ভিতরে এনে যেমন বাছুরটির রক্ত ছিটিয়ে দিয়েছিল, সেভাবে তারও রক্ত নিয়ে ছিটিয়ে দেবে, গুনাহ্ আবরণের উপরে ও গুনাহ্ আবরণের সম্মুখে তা ছিটিয়ে দেবে।
16. আর বনি-ইসরাইলদের নানা রকম নাপাকীতা ও অধর্ম, অর্থাৎ সব রকম গুনাহের দরুন সে পবিত্র স্থানের জন্য কাফ্ফারা দেবে এবং যে জমায়েত-তাঁবু তাদের সঙ্গে তাদের নানা রকম নাপাকীতার মধ্যে বসতি করে, তার জন্য সে সেরকম করবে।