8. তারা এক জন অন্যের উপরে চাপাচাপি করে না; সকলেই নিজ নিজ পথে অগ্রসর হয় এবং তলোয়ারের উপরে পড়লেও আহত হয় না।
9. তারা নগরের উপর লাফ দেয়, প্রাচীরের উপরে দৌড়ায়, বাড়ির মধ্যে ওঠে, চোরের মত জানালা দিয়ে প্রবেশ করে।
10. তাদের সম্মুখে দুনিয়া কাঁপে, আকাশমণ্ডল কমপমান হয়, চন্দ্র ও সূর্য অন্ধকারময় হয়, নক্ষত্রগুলো নিজ নিজ আলো দেওয়া বন্ধ করে দেয়।
11. মাবুদ নিজের সৈন্যসামন্তের আগে তাঁর কণ্ঠস্বর শোনাচ্ছেন; কেননা তাঁর বাহিনী বিরাট বড়; যারা তাঁর হুকুম মান্য করে তারা বলবান। কেননা মাবুদের দিন মহৎ ও অতি ভয়ানক; আর কে তা সহ্য করতে পারে?
12. কিন্তু, মাবুদ বলেন, এখনও তোমরা সমস্ত অন্তঃকরণের সঙ্গে এবং রোজা, কান্নাকাটি ও মাতম সহকারে আমার কাছে ফিরে এসো।
13. আর নিজ নিজ কাপড় না ছিঁড়ে অন্তঃকরণ ছিঁড় এবং তোমাদের আল্লাহ্ মাবুদের কাছে ফিরে এসো, কেননা তিনি কৃপাময় ও স্নেহশীল ক্রোধে ধীর ও অটল মহব্বতে মহান এবং অমঙ্গলের বিষয়ে অনুশোচনা করেন।
14. কে জানে যে, তিনি ফিরে অনুশোচনা করবেন না এবং তাঁর পিছনে দোয়া, অর্থাৎ তোমাদের আল্লাহ্ মাবুদের উদ্দেশে শস্য-উৎসর্গ ও পেয়-নৈবেদ্য রেখে যাবেন না?
15. তোমরা সিয়োনে তূরী বাজাও, পবিত্র রোজা নির্ধারণ কর, একটি বিশেষ মাহ্ফিল আহ্বান কর;
16. লোকদের একত্র কর, পবিত্র সমাজ নির্ধারণ কর, প্রাচীনদেরকে আহ্বান কর, বালক বালিকাদের ও দুগ্ধপোষ্য শিশুদেরকে একত্র কর; বর তার বাসগৃহ থেকে, কন্যা তার অন্তঃপুর থেকে বের হোক।
17. বারান্দার ও কোরবানগাহ্র মধ্যস্থানে মাবুদের পরিচারক ইমামেরা কান্নাকাটি করুক, তারা বলুক,হে মাবুদ, তোমার লোকদের প্রতি মমতা কর,তোমার অধিকারকে উপহাসের বিষয় করো না;তাদের বিষয়ে জাতিদেরকে গল্প করতে দিও না,লোকজন কেন বলবে যে, ‘ওদের আল্লাহ্ কোথায়?’
18. তখন মাবুদ তাঁর দেশের জন্য উদ্যোগী হলেন ও তাঁর লোকদের প্রতি রহম করলেন।
19. আর মাবুদ জবাব দিলেন, তাঁর লোকদের বললেন, দেখ, আমি তোমাদের কাছে শস্য, আঙ্গুর-রস ও তেল পাঠিয়েছি, তোমরা তাতে তৃপ্ত হবে; এবং আমি জাতিদের মধ্যে তোমাদেরকে আর উপহাসের পাত্র করবো না।
20. বরং আমি তোমাদের কাছ থেকে উত্তর দেশীয় সৈন্য দূর করবো এবং তাকে শুকনো ও ধ্বংসপ্রাপ্ত দেশে তাড়িয়ে দেব, পূর্ব সমুদ্রের দিকে তার অগ্রভাগ ও পশ্চিম সমুদ্রের দিকে তার পশ্চাদ্ভাগ ফেলে দেব; আর তার দুর্গন্ধ ও পূতিগন্ধ উঠবে, কারণ সে মহৎ মহৎ কাজ করেছে।