23. সেই ব্যক্তি বললো, তোমাদের মঙ্গল হোক, ভয় করো না; তোমাদের আল্লাহ্, তোমাদের পূর্বপুরুষদের আল্লাহ্, তোমাদের বস্তায় তোমাদেরকে গুপ্তধন দিয়েছেন; আমি তোমাদের টাকা পেয়েছি। পরে সে শিমিয়োনকে তাঁদের কাছে আনলো।
24. আর সে তাঁদেরকে ইউসুফের বাড়ির ভিতরে নিয়ে গিয়ে পানি দিল, তাতে তাঁরা পা ধুলেন এবং সে তাঁদের গাধাগুলোকে আহার দিল।
25. আর মধ্যাহ্নে ইউসুফ আসবেন বলে তাঁরা উপহার সাজালেন, কেননা তাঁরা শুনেছিলেন যে, সেখানে তাঁদেরকে আহার করতে হবে।
26. পরে ইউসুফ বাড়িতে আসলে তাঁরা তাদের উপহার বাড়ির মধ্যে তাঁর কাছে আনলেন ও তাঁর সামনে ভূমিতে উবুড় হয়ে সম্মান দেখালেন।
27. তখন তিনি কুশল জিজ্ঞাসা করে তাঁদেরকে বললেন, তোমাদের যে বৃদ্ধ পিতার কথা বলেছিলে, তিনি কি কুশলে আছেন? তিনি কি এখনও জীবিত আছেন?
28. তাঁরা বললেন, আপনার গোলাম আমাদের পিতা সহিসালামতে আছেন, তিনি এখনও জীবিত আছেন। পরে তাঁরা ভূমিতে উবুড় হয়ে সম্মান দেখালেন।
29. তখন ইউসুফ তাঁর ভাই বিন্ইয়ামীনকে, তাঁর সহোদরকে দেখে বললেন, তোমাদের যে ছোট ভাইয়ের কথা আমাকে বলেছিলে, সে কি এই? আর তিনি বললেন, বৎস, আল্লাহ্ তোমার প্রতি অনুগ্রহ করুন।
30. তখন ইউসুফ তাড়াতাড়ি করলেন, কেননা তাঁর ভাইয়ের জন্য তাঁর প্রাণ কাঁদছিল, তাই তিনি কাঁদবার জায়গার খোঁজ করলেন, আর নিজের কামরায় প্রবেশ করে সেখানে কাঁদতে লাগলেন।
31. পরে তিনি মুখ ধুয়ে বাইরে আসলেন ও নিজেকে সংযত করে খাদ্য পরিবেশন করতে হুকুম করলেন।
32. তখন তাঁর জন্য পৃথক ও তাঁর ভাইদের জন্য পৃথক এবং তাঁর সঙ্গে ভোজনকারী মিসরীয়দের জন্য পৃথক পরিবেশন করা হল, কেননা ইবরানীদের সঙ্গে মিসরীয়েরা আহার করে না; কারণ তা মিসরীয়দের ঘৃণিত কর্ম।
33. আর তাঁরা ইউসুফের সম্মুখে জ্যেষ্ঠ জ্যেষ্ঠের স্থানে ও কনিষ্ঠ কনিষ্ঠের স্থানে বসলেন; তখন তাঁরা পরস্পর আশ্চর্য জ্ঞান করলেন।
34. আর তিনি তাঁর সম্মুখ থেকে খাদ্যের অংশ তুলে তাঁদেরকে পরিবেশন করালেন; কিন্তু সকলের অংশ থেকে বিন্ইয়ামীনের অংশ পাঁচ গুণ বেশি ছিল। পরে তাঁরা পান করলেন ও তাঁর সঙ্গে হৃষ্টচিত্ত হলেন।