13. এজন্য করছেন, যেন তিনি আজ তোমাকে তাঁর লোক হিসেবে স্থাপন করেন ও তোমার আল্লাহ্ হন, যেমন তিনি তোমাকে বলেছেন, আর যেমন তিনি তোমার পূর্ব-পুরুষ ইব্রাহিম, ইস্হাক ও ইয়াকুবের কাছে কসম খেয়েছেন।
14. আর আমি এই নিয়ম ও এই কসম কেবল তোমাদেরই সঙ্গে করছি, তা নয়;
15. বরং আমাদের সঙ্গে আজ এই স্থানে আমাদের আল্লাহ্ মাবুদের সম্মুখে যে কেউ দাঁড়িয়ে আছে ও আমাদের সঙ্গে আজ যে নেই, তাদের সকলের সঙ্গে করছি।
16. (কেননা আমরা মিসর দেশে যেভাবে বাস করেছি এবং জাতিদের মধ্য দিয়ে যেভাবে এসেছি তা তোমরা জান;
17. এবং তাদের ঘৃণার বস্তু বস্তুগুলো, তাদের কাছে কাঠের, পাথরের, রূপার ও সোনার সমস্ত মূর্তি দেখেছো।)
18. —এই জাতিদের দেবতাদের সেবা করতে যাবার জন্য আজ আমাদের আল্লাহ্ মাবুদের কাছ থেকে তার অন্তর সরে যায়, এমন কোন পুরুষ, কিংবা স্ত্রী, কিংবা গোষ্ঠী, কিংবা বংশ তোমাদের মধ্যে যেন না থাকে, বিষবৃক্ষের বা নাগদানার মূল তোমাদের মধ্যে যেন না থাকে;
19. এবং এই বদদোয়ার কথা শুনবার সময় কেউ যেন মনে মনে নিজের ধন্যবাদ করে না বলে, আমার হৃদয়ের কঠিনতায় চললেও আমার শান্তি হবে, তবে সে সিক্ত ভূমির সঙ্গে শুকনো ভূমিকেও ধ্বংস করে ফেলবে।
20. মাবুদ তাকে মাফ করতে সম্মত হবেন না, কিন্তু সেই মানুষের উপরে তখন মাবুদের ক্রোধ ও তাঁর অন্তর্জ্বালা প্রজ্বলিত হবে এবং এই কিতাবে লেখা সমস্ত বদদোয়া তার উপরে স্থায়ী হয়ে থাকবে এবং মাবুদ আসমানের নিচে থেকে তার নাম মুছে ফেলবেন।
21. আর এই শরীয়ত-কিতাবে লেখা নিয়মের সমস্ত বদদোয়া অনুসারে মাবুদ তাকে ইসরাইলের সমস্ত বংশ থেকে অমঙ্গলের জন্য পৃথক করবেন।
22. আর মাবুদ সেই দেশের উপরে যেসব আঘাত ও রোগ আনবেন, তা যখন ভাবী বংশ, তোমাদের পরে উৎপন্ন তোমাদের সন্তানেরা এবং দূরদেশ থেকে আগত বিদেশী দেখবে;
23. ফলত মাবুদ তাঁর ক্রোধ ও রোষে যে সাদুম, আমুরা, অদমা ও সবোয়িম নগর উৎসন্ন করেছিলেন, তার মত এই দেশের সমস্ত ভূমি গন্ধক, লবণ ও দহনে পরিপূর্ণ হয়েছে, তাতে কিছুই বপন করা যায় না ও তা ফল উৎপন্ন করে না ও তাতে কোন ঘাস হয় না, এসব যখন দেখবে;
24. তখন তারা বলবে, এমন কি, সমস্ত জাতি বলবে, মাবুদ এই দেশের প্রতি কেন এমন করলেন? এরকম মহাক্রোধ প্রজ্বলিত হবার কারণ কি?
25. তখন লোকে বলবে, কারণ হচ্ছে, তাদের পূর্বপুরুষদের আল্লাহ্ মাবুদ মিসর দেশ থেকে সেই পূর্বপুরুষদেরকে বের করে আনবার সময়ে তাদের জন্যে যে নিয়ম স্থির করেন, সেই নিয়ম তারা ত্যাগ করেছিল;