10. পরে মাবুদের মনোনীত সেই স্থানে তারা বিচারের যে রায় তোমাকে জানাবে, তুমি সেই রায়ের নির্দেশ অনুসারে কাজ করবে; তারা তোমাকে যা নির্দেশ দেবে, সমস্তই যত্নপূর্বক করবে।
11. তারা তোমাকে যে শরীয়ত শিক্ষা দেবে, তার মর্মানুসারে ও তোমাকে বিচারের যে রায় বলবে, সেই অনুসারে তুমি কাজ করবে; তাদের হুকুমের ডানে বা বামে ফিরবে না;
12. কিন্তু যে ব্যক্তি দুঃসাহসপূর্বক আচরণ করে, তোমার আল্লাহ্ মাবুদের পরিচর্যা করার জন্য সেই স্থানে দণ্ডায়মান ইমামের কিংবা বিচারকর্তার কথার অবাধ্য হয়, সেই মানুষ হত হবে। এভাবে তুমি ইসরাইলের মধ্য থেকে দুষ্টাচার লোপ করবে।
13. তাতে সমস্ত লোক তা শুনে ভয় পাবে এবং দুঃসাহসের কাজ আর করবে না।
14. তোমার আল্লাহ্ মাবুদ তোমাকে যে দেশ দিচ্ছেন, তুমি যখন সেখানে গিয়ে দেশ অধিকারপূর্বক সেখানে বাস করবে; আর বলবে, আমার চারদিকের সকল জাতির মত আমিও আমাদের উপরে এক জন বাদশাহ্ নিযুক্ত করবো,
15. তখন তোমার আল্লাহ্ মাবুদ যাকে মনোনীত করবেন, তাকেই তোমাদের উপরে বাদশাহ্ নিযুক্ত করবে; তোমার ভাইদের মধ্য থেকে তোমাদের উপরে বাদশাহ্ নিযুক্ত করবে; যে তোমার ভাই নয়, এমন বিজাতীয় ব্যক্তিকে তোমাদের উপরে বাদশাহ্ করতে পারবে না।
16. আর সেই বাদশাহ্ তাঁর জন্য অনেক ঘোড়া রাখবে না এবং অনেক ঘোড়ার চেষ্টায় লোকদেরকে পুনর্বার মিসর দেশে গমন করাবে না; কেননা মাবুদ তোমাদেরকে বলেছেন, এর পরে তোমরা সেই পথে আর ফিরে যাবে না।
17. আর সে অনেক স্ত্রী গ্রহণ করবে না, পাছে তার অন্তর বিপথগামী হয়; এবং সে নিজের জন্য রূপা কিংবা সোনা অতিশয় বৃদ্ধি করবে না।
18. আর স্বীয় রাজ্যের সিংহাসনে উপবেশনকালে তার নিজের জন্য একটি কিতাবে লেবীয় ইমামদের সম্মুখস্থিত এই শরীয়তের অনুলিপি লিখে নেবে।
19. তা তার কাছে থাকবে এবং সে সারা জীবন তা পাঠ করবে; যেন সে তার আল্লাহ্ মাবুদকে ভয় করতে ও এই শরীয়তের সমস্ত কালাম ও এসব বিধি পালন করতে শেখে;
20. যেন তার ভাইদের উপরে তার অন্তর উদ্ধত না হয় এবং সে হুকুমের ডানে বা বামে না ফিরে; এভাবে যেন ইসরাইলের মধ্যে তার ও তার সন্তানদের রাজত্ব দীর্ঘকাল স্থায়ী হয়।