3. তখন ক্ষিতিপালরা, প্রতিনিধিরা, শাসনকর্তারা, মহা-বিচারকর্তৃরা, কোষাধ্যক্ষরা, ব্যবস্থাপকরা ও অধিপতিরা এবং প্রদেশগুলোর সমস্ত কর্মকর্তা বাদশাহ্ বখতে-নাসারের স্থাপিত সেই মূর্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য একত্র হলেন। পরে তাঁরা বখতে-নাসারের স্থাপিত মূর্তির সম্মুখে দাঁড়ালেন।
4. তখন ঘোষক উচ্চৈঃস্বরে বললেন, ‘হে লোকবৃন্দ, জাতিগণ ও নানা ভাষাবাদীগণ, তোমাদের প্রতি এই হুকুম দেওয়া হচ্ছে;
5. যে সময়ে তোমরা শিঙ্গা, বাঁশী, বীণা, চতুস্তন্ত্রী, পরিবাদিনী ও মৃদঙ্গ প্রভৃতি সমস্ত রকম যন্ত্রের বাজনার শব্দ শুনবে, সেই সময় বাদশাহ্ বখতে-নাসারের স্থাপিত সোনার মূর্তির সম্মুখে উবুড় হয়ে সেজ্দা করবে।
6. যে ব্যক্তি উবুড় হয়ে সেজ্দা না করবে, সে তখনই প্রজ্বলিত অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষিপ্ত হবে।’
7. অতএব সমস্ত লোক যখন শিঙ্গা, বাঁশী, বীণা, চতুস্তন্ত্রী ও পরিবাদিনী প্রভৃতি সমস্ত রকম যন্ত্রের বাজনার শব্দ শুনলো, তখন সমস্ত লোকবৃন্দ, জাতি ও ভাষাবাদী উবুড় হয়ে বাদশাহ্ বখতে-নাসারের স্থাপিত সোনার মূর্তিকে সেজ্দা করলো।
8. সে সময় কয়েকজন কল্দীয় কাছে এসে ইহুদীদের উপরে দোষারোপ করলো।
9. তারা বাদশাহ্ বখতে-নাসারের কাছে এই কথা বললো, হে বাদশাহ্ চিরজীবী হোন।
10. হে বাদশাহ্, আপনি এই হুকুম করেছেন, ‘যে কেউ শিঙ্গা, বাঁশী, বীণা, চতুস্তন্ত্রী, পরিবাদিনী ও মৃদঙ্গ প্রভৃতি সমস্ত রকম যন্ত্রের বাজনার শব্দ শুনবে, সে উবুড় হয়ে ঐ সোনার মূর্তিকে সেজ্দা করবে;
11. যে ব্যক্তি উবুড় হয়ে সেজ্দা না করবে, সে প্রজ্বলিত অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষিপ্ত হবে।’
12. ব্যাবিলন প্রদেশের রাজকর্মে আপনার নিযুক্ত শদ্রক, মৈশক ও অবেদ্-নগো নামে কয়েক জন ইহুদী আছে; হে বাদশাহ্, সেই ব্যক্তিরা আপনাকে মান্য করে নি; তারা আপনার দেবতাদের সেবা করে না এবং আপনি যে সোনার মূর্তি স্থাপন করেছেন, তাকেও সেজ্দা করে না।