17. যদি হয়, আমরা যাঁর সেবা করি, আমাদের সেই আল্লাহ্ আমাদেরকে প্রজ্বলিত অগ্নিকুণ্ড থেকে উদ্ধার করতে সমর্থ আছেন, আর, হে বাদশাহ্, তিনি আপনার হাত থেকে আমাদের উদ্ধার করবেন;
18. আর যদি নাও হয়, তবু হে বাদশাহ্ আপনি জানবেন, আমরা আপনার দেবতাদের সেবা করবো না এবং আপনার স্থাপিত সোনার মূর্তিকে সেজ্দা করবো না।
19. তখন বখতে-নাসার ক্রোধে পরিপূর্ণ হলেন এবং শদ্রক, মৈশক ও অবেদ্নগোর বিরুদ্ধে তাঁর মুখ ভয়ঙ্কর হল; তিনি বলে দিলেন ও হুকুম করলেন, অগ্নিকুণ্ড যে পরিমাণে উত্তপ্ত আছে, তার চেয়ে যেন সাত গুণ বেশি উত্তপ্ত করা হয়;
20. আর তিনি তাঁর সৈন্যের মধ্যে কয়েকজন শক্তিশালী পুরুষকে হুকুম দিলেন, যেন তারা শদ্রক, মৈশক ও অবেদ্-নগোকে বেঁধে প্রজ্বলিত অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ করে।
21. তখন তাদের নিজ নিজ জামা, আঙরাখা, পরিচ্ছদ প্রভৃতি কাপড়সুদ্ধ বেঁধে প্রজ্বলিত অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ করা হল।
22. আর বাদশাহ্র হুকুম প্রচণ্ড ও অগ্নিকুণ্ড অতি উত্তপ্ত ছিল, সেই জন্য যে পুরুষেরা শদ্রক, মৈশক ও অবেদ্-নগোকে নিক্ষেপ করলো, তারাই আগুনের শিখায় পুড়ে মরলো।
23. আর শদ্রক, মৈশক ও অবেদ্-নগো, এই তিন জনকে বেঁধে প্রজ্বলিত অগ্নিকুণ্ডের মধ্যে ফেলে দেওয়া হল।
24. তখন বাদশাহ্ বখতে-নাসার চমৎকৃত হলেন ও দ্রুত নিজের স্থান থেকে উঠে দাড়ালেন; তিনি তাঁর মন্ত্রীদেরকে বললেন, আমরা কি তিন জন পুরুষকে বেঁধে আগুনের মধ্যে নিক্ষেপ করি নি? তাঁরা জবাবে বাদশাহ্কে বললেন, হ্যাঁ, মহারাজ।
25. তখন বাদশাহ্ বললেন, দেখ, আমি চার ব্যক্তিকে দেখতে পাচ্ছি; ওরা মুক্ত হয়ে আগুনের মধ্যে চলাচল করছে, ওদের কোন হানি হয় নি; আর চতুর্থ ব্যক্তির অবয়ব দেবপুত্রের মত।
26. তখন বখতে-নাসার সেই প্রজ্বলিত অগ্নিকুণ্ডের দুয়ারের কাছে গিয়ে বললেন, হে সর্বশক্তিমান আল্লাহ্র গোলাম শদ্রক, মৈশক ও অবেদ্-নগো, বের হয়ে এসো। তখন শদ্রক, মৈশক ও অবেদ্-নগো আগুনের মধ্য থেকে বের হয়ে আসলেন।
27. পরে ক্ষিতিপাল, প্রতিনিধি, শাসনকর্তা ও রাজমন্ত্রিরা একত্র হয়ে ঐ তিন ব্যক্তিকে নিরীক্ষণ করে দেখলেন, আগুন তাঁদের শরীরে কোন ক্ষতি করে নি, তাঁদের মাথার কেশও পোড়ে নি, কাপড়ও বিকৃত হয় নি এবং তাদের শরীরে আগুনের গন্ধও নেই।