4. আমি মৃত্যুর দড়িতে বাঁধা পড়েছিলাম,ধ্বংসের খরস্রোতে আশঙ্কিত ছিলাম।
5. আমি পাতালের দড়িতে বাঁধা পড়েছিলাম,মৃত্যুর ফাঁদে জড়িত ছিলাম।
6. সঙ্কটে আমি মাবুদকে ডাকলাম,আমার আল্লাহ্র উদ্দেশে আর্তনাদ করলাম;তাঁর গৃহ থেকে তিনি আমার মিনতি শুনলেন,তাঁর সম্মুখে আমার আর্তনাদ তাঁর কর্ণে প্রবেশ করলো।
7. তখন দুনিয়া টলতে লাগল, কাঁপতে লাগল,পর্বতরাজির সমস্ত মূল বিচলিত হল ও টলতে লাগল,কারণ তিনি জ্বলে উঠলেন।
8. তাঁর নাসারন্ধ্র থেকে ধোঁয়া বের হল,তাঁর মুখনির্গত আগুন গ্রাস করলো;তাঁর কাছ থেকে বেরিয়ে আসল প্রজ্বলিত অঙ্গার।
9. তিনি আসমানকে নুইয়ে নামলেন,অন্ধকার তাঁর পদতলে ছিল।
10. তিনি কারুবী আরোহণে উড্ডীন হলেন,বায়ু-পক্ষভরে উড়ে আসলেন।
11. তিনি অন্ধকারকে তাঁর অন্তরাল,তাঁর চতুর্দিকস্থ তাঁবু করলেন;পানির ঘন অন্ধকার ও আসমানের ঘন মেঘমালাকে চন্দ্রাতপ করলেন।
12. তাঁর সম্মুখবর্তী তেজ থেকে মেঘমালা সরে গেল,দেখা গেল শিলাবৃষ্টি ও প্রজ্বলিত অঙ্গার।
13. আর মাবুদ আসমানে বজ্রনাদ করলেন,সর্বশক্তিমান তাঁর কণ্ঠস্বর শুনালেন;শিলাবৃষ্টি ও প্রজ্বলিত অঙ্গার দ্বারা।
14. তিনি তাঁর তীর মারলেন, তাদেরকে ছিন্নভিন্ন করলেন;অনেক বিদ্যুৎ চম্কিয়ে তাদেরকে বিশৃঙ্খল করলেন।
15. তখন জলরাশির সমস্ত প্রণালী প্রকাশ পেল,দুনিয়ার সমস্ত মূল অনাবৃত হল, তোমার তর্জনে,হে মাবুদ, তোমার নাসিকার প্রশ্বাসবায়ুতে।