9. তাদের সকল দুঃখে তিনি দুঃখিত হতেন, তাঁর উপস্থিতির ফেরেশতা তাদেরকে উদ্ধার করতেন; তিনি তাঁর প্রেমে ও তাঁর স্নেহে তাদেরকে মুক্ত করতেন এবং পুরাকালের সমস্ত দিন তাদেরকে তুলে বহন করতেন।
10. কিন্তু তারা বিদ্রোহী হয়ে তাঁর পাক-রূহ্কে শোকাকুল করতো, তাতে তিনি ফিরে তাদের দুশমন হলেন, নিজে তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে লাগলেন।
11. তখন তাঁর লোকেরা পুরাকাল, মূসার কাল স্মরণ করে বললো, তিনি কোথায়, যিনি তাঁর পালের রক্ষকদের সহকারে তাদেরকে সমুদ্রের মধ্য দিয়ে নিয়ে এসেছিলেন? তিনি কোথায়, যিনি তাদের অন্তরে তাঁর পাক-রূহ্ রেখেছিলেন,
12. যিনি মূসার দক্ষিণে তাঁর মহিমান্বিত বাহু গমন করিয়েছিলেন, যিনি তাঁর চিরস্থায়ী নাম স্থাপনের জন্য তাদের সম্মুখে পানি দু’ভাগ করেছিলেন,
13. যিনি তাদেরকে মরুভূমিতে [ধাবমান] ঘোড়ার মত সমুদ্রের মধ্য দিয়ে গমন করিয়েছিলেন, হোঁচট খেতে দেন নি?
14. পশুপাল যেমন উপত্যকায় নেমে যায়, তেমনি মাবুদের রূহ্ তাদেরকে বিশ্রাম করিয়েছিলেন; নিজের মহিমান্বিত নাম স্থাপনের জন্য তুমি তোমার লোকদেরকে তেমনি করে নিয়ে গিয়েছিলে।
15. তুমি বেহেশত থেকে অবলোকন কর, তোমার পবিত্রতার ও তোমার মহিমার বসতি থেকে দৃষ্টিপাত কর। তোমার গভীর আগ্রহ ও তোমার বিক্রমের কাজগুলো কোথায়? আমার প্রতি তোমার অন্তরস্থ বাৎসল্যের ও তোমার স্নেহের স্বর সরিয়ে রেখেছ।
16. তুমি তো আমাদের পিতা; যদিও ইব্রাহিম আমাদেরকে জানেন না ও ইসরাইল আমাদেরকে স্বীকার করেন না, তবুও তুমি মাবুদ আমাদের পিতা, অনাদিকাল থেকে আমাদের মুক্তিদাতা, এই তোমার নাম।
17. হে মাবুদ, তুমি কেন আমাদেরকে তোমার পথ ছেড়ে ভ্রান্ত্র হতে দিচ্ছ? তোমাকে ভয় না করতে আমাদের অন্তকরণকে কেন কঠিন করছো? তুমি তোমার গোলামদের, তোমার অধিকারস্বরূপ বংশদের জন্য ফিরে এসো।