২ শামুয়েল 14:22-33 Kitabul Mukkadas (MBCL)

22. যোয়াব মাটিতে উবুড় হয়ে পড়ে বাদশাহ্‌কে সম্মান দেখালেন এবং তাঁকে শুকরিয়া জানালেন। তারপর যোয়াব বললেন, “হে আমার প্রভু মহারাজ, আজকে আপনার গোলাম আমি জানতে পারলাম যে, আমি আপনার কাছে দয়া পেয়েছি, কারণ মহারাজ আমার অনুরোধ রক্ষা করেছেন।”

23. এর পর যোয়াব গশূরে গিয়ে অবশালোমকে জেরুজালেমে ফিরিয়ে আনলেন।

24. বাদশাহ্‌ বললেন, “সে তার নিজের বাড়ীতেই যাক। সে যেন আমার মুখ না দেখে।” কাজেই অবশালোম নিজের বাড়ীতে গেল; বাদশাহ্‌র মুখ সে দেখতে পেল না।

25. সারা ইসরাইল দেশে অবশালোমের মত এত সুন্দর আর কেউ ছিল না। সুন্দর চেহারার জন্য সে সকলের চেয়ে বেশী প্রশংসা পেত। তার মাথার তালু থেকে পায়ের তলা পর্যন্ত কোথাও কোন খুঁত ছিল না।

26. বছরের শেষে সে তার চুল কেটে ফেলত, কারণ তার চুলের ওজন বেশী হয়ে যেত। তারপর সে তা মাপলে তার ওজন হত আড়াই কেজি।

27. অবশালোমের তিন ছেলে ও এক মেয়ে জন্মেছিল। মেয়েটির নাম ছিল তামর। সে দেখতে সুন্দরী ছিল।

28. অবশালোম দু’বছর জেরুজালেমে ছিল; এর মধ্যে সে বাদশাহ্‌র মুখ দেখতে পায় নি।

29. তারপর সে বাদশাহ্‌র কাছে যাবার জন্য যোয়াবকে ডেকে পাঠাল, কিন্তু যোয়াব তার কাছে যেতে রাজী হলেন না। পরে সে দ্বিতীয় বার যোয়াবকে ডেকে পাঠাল, কিন্তু এবারও যোয়াব তার কাছে যেতে রাজী হলেন না।

30. তখন অবশালোম তার চাকরদের বলল, “দেখ, আমার ক্ষেতের পাশেই রয়েছে যোয়াবের ক্ষেত। সে তাতে যব বুনেছে। তোমরা গিয়ে তাতে আগুন লাগিয়ে দাও।” এতে অবশালোমের চাকরেরা গিয়ে সেই ক্ষেতে আগুন লাগিয়ে দিল।

31. তখন যোয়াব অবশালোমের বাড়ীতে গিয়ে তাকে বললেন, “তোমার চাকরেরা কেন আমার ক্ষেতে আগুন লাগিয়েছে?”

32. জবাবে অবশালোম যোয়াবকে বলল, “এখানে আসবার জন্য আমি আপনার কাছে লোক পাঠিয়ে দিয়েছিলাম যাতে আপনি গিয়ে বাদশাহ্‌কে এই কথা জিজ্ঞাসা করতে পারেন, ‘কেন আমি গশূর থেকে আসলাম? সেখানে থাকাই তো আমার পক্ষে ভাল ছিল।’ এখন যাতে আমি বাদশাহ্‌র মুখ দেখতে পাই আপনি সেই ব্যবস্থা করুন। যদি আমার কোন দোষ হয়ে থাকে তবে তিনি যেন আমাকে মেরে ফেলেন।”

33. তখন যোয়াব গিয়ে বাদশাহ্‌কে সেই সব কথা বললেন। বাদশাহ্‌ অবশালোমকে ডেকে পাঠালে পর সে বাদশাহ্‌র সামনে এসে মাটিতে উবুড় হয়ে পড়ল। তখন বাদশাহ্‌ অবশালোমকে চুম্বন করলেন।

২ শামুয়েল 14