28. অবশালোম তার লোকদের এই হুকুম দিল, “দেখ, আংগুর-রস খেয়ে যখন অম্নোনের মন খুব খুশী হয়ে উঠবে তখন আমি তোমাদের বলব, ‘অম্নোনকে হত্যা কর,’ আর তোমরা তাকে হত্যা করবে। তোমরা ভয় কোরো না। আমিই তো তোমাদের সেই হুকুম দিচ্ছি। তোমরা সাহস কর ও শক্তিশালী হও।”
29. কাজেই অবশালোমের হুকুম অনুসারেই তার লোকেরা অম্নোনকে হত্যা করল। এই ঘটনা দেখে বাদশাহ্র আর সব ছেলেরা যে যার খ"চরে চড়ে পালিয়ে গেল।
30. তারা পথে থাকতেই দাউদের কানে এই খবর আসল যে, অবশালোম বাদশাহ্র সব ছেলেদের হত্যা করেছে, তাদের একজনও বেঁচে নেই।
31. এই কথা শুনে বাদশাহ্ উঠে দাঁড়িয়ে নিজের কাপড় ছিঁড়ে মাটিতে শুয়ে পড়লেন। তাঁর কর্মচারীরা সবাই নিজের নিজের কাপড় ছিঁড়ে তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে রইল।
32. কিন্তু দাউদের ভাই শিমিয়ার ছেলে যোনাদব বলল, “আমার মালিক মনে করবেন না যে, সব রাজপুত্রদেরই হত্যা করা হয়েছে; কেবল অম্নোনকে হত্যা করা হয়েছে। এর কারণ হল, যেদিন সে অবশালোমের বোন তামরের ইজ্জত নষ্ট করেছে সেই দিন থেকে অবশালোম এটাই ঠিক করে রেখেছিল।
33. রাজপুত্রেরা সবাই মারা গেছে ভেবে আমার প্রভু মহারাজ যেন দুঃখ না করেন, কারণ কেবল অম্নোনই মারা পড়েছে।”
34. এর মধ্যে অবশালোম পালিয়ে গিয়েছিল। যে লোকটি বাদশাহ্র পাহারাদার ছিল সে চেয়ে দেখল যে, পাহাড়ের পাশ থেকে তার পিছনের রাস্তা দিয়ে অনেক লোক আসছে।
35. তখন যোনাদব বাদশাহ্কে বলল, “ঐ দেখুন, রাজপুত্রেরা এসে গেছেন। আপনার গোলাম আমি যা বলেছিলাম তা-ই হয়েছে।”
36. তার কথা শেষ হওয়ার সংগে সংগেই বাদশাহ্র ছেলেরা এসে জোরে জোরে কাঁদতে লাগল। বাদশাহ্ ও তাঁর সব কর্মচারীরাও খুব কাঁদতে লাগলেন।
37. অবশালোম পালিয়ে গশূরের বাদশাহ্ অম্মীহূদের ছেলে তল্ময়ের কাছে গেল। দাউদ কিন্তু তাঁর ছেলে অম্নোনের জন্য প্রতিদিন শোক করতে লাগলেন।
38. অবশালোম পালিয়ে গশূরে গিয়ে সেখানে তিন বছর রইল।
39. তার কাছে যাবার জন্য বাদশাহ্ দাউদের খুব ইচ্ছা হল, কারণ অম্নোনের মৃত্যুর বিষয়ে বাদশাহ্ সান্ত্বনা পেয়েছিলেন।