5. তারা এবং ইমামেরা সিন্দুকটি, মিলন-তাম্বু এবং সমস্ত পবিত্র পাত্র বয়ে নিলেন।
6. বাদশাহ্ সোলায়মান ও তাঁর কাছে জমায়েত হওয়া সমস্ত বনি-ইসরাইল সিন্দুকটির সামনে সামনে থেকে এত ভেড়া ও গরু কোরবানী দিলেন যে, সেগুলোর সংখ্যা গোণা গেল না।
7. তারপর ইমামেরা মাবুদের সাক্ষ্য-সিন্দুকটি নির্দিষ্ট জায়গায়, বায়তুল-মোকাদ্দসের ভিতরের কামরায়, অর্থাৎ মহাপবিত্র স্থানে কারুবীদের ডানার নীচে নিয়ে রাখলেন।
8. তাতে কারুবীদের মেলে দেওয়া ডানায় সিন্দুক ও তা বহন করবার ডাণ্ডাগুলো ঢাকা পড়ল।
9. সিন্দুকের এই ডাণ্ডাগুলো এত লম্বা ছিল যে, সেগুলোর মাথা ভিতরের কামরার সামনের প্রধান কামরা, অর্থাৎ পবিত্র স্থান থেকে দেখা যেত, কিন্তু পবিত্র স্থানের বাইরে থেকে দেখা যেত না। সেগুলো আজও সেখানে রয়েছে।
10. বনি-ইসরাইলরা মিসর দেশ থেকে বের হয়ে আসবার পরে মাবুদ তুর পাহাড়ে তাদের জন্য যখন ব্যবস্থা স্থাপন করেছিলেন তখন মূসা যে পাথরের ফলক দু’টি সিন্দুকের মধ্যে রেখেছিলেন সেই দু’টি ছাড়া আর কিছুই তার মধ্যে ছিল না।
11. তারপর সব ইমামেরা পবিত্র স্থান থেকে বাইরে আসলেন। সেই ইমামেরা যে কোন দলেরই হন না কেন, সবাই নিজেদের পাক-সাফ করেছিলেন।
12. যে সব লেবীয়রা গজল গাইতেন ও বাজনা করতেন, অর্থাৎ আসফ, হেমন, যিদূথূন এবং তাঁদের ছেলেরা ও তাঁদের বংশের লোকেরা মসীনার কাপড় পরে কোরবানগাহের পূর্ব দিকে দাঁড়িয়ে করতাল, বীণা ও সুরবাহার বাজাচ্ছিলেন। তাঁদের সংগে ছিলেন একশো বিশ জন ইমাম যাঁরা শিংগা বাজাচ্ছিলেন।
13. ইমামেরা যখন বাইরে আসলেন তখন শিংগা বাদকেরা ও কাওয়ালেরা একসংগে এক সুরে মাবুদের প্রশংসা করলেন ও তাঁর শুকরিয়া আদায় করলেন। শিংগা, করতাল ও অন্যান্য বাজনার সংগে তাঁরা জোরে জোরে মাবুদের উদ্দেশে এই কাওয়ালী গাইলেন,“তিনি মেহেরবান,তাঁর মহব্বত চিরকাল স্থায়ী।”সেই সময় মাবুদের ঘর মেঘে ভরে গেল।
14. সেই মেঘের জন্য ইমামেরা তাঁদের এবাদত-কাজ করতে পারলেন না, কারণ মাবুদের মহিমায় আল্লাহ্র ঘরটা পরিপূর্ণ হয়ে গিয়েছিল।