14. তাদের বোঝা খুব ভারী, আমার একার পক্ষে তা বয়ে নেওয়া সম্ভব নয়।
15. তুমি যদি আমার অবস্থা এই রকমই কর তবে এখনই তুমি আমাকে মেরে ফেল। যদি আমি তোমার রহমত পেয়েই থাকি তবে নিজের চোখে আমার নিজের সর্বনাশ আমাকে দেখতে দিয়ো না।”
16. মাবুদ মূসাকে বললেন, “ইসরাইলীয়দের মধ্যে যাদের তুমি নেতা এবং সম্মানিত লোক বলে জান তাদের মধ্য থেকে সত্তরজন বৃদ্ধ নেতাকে আমার কাছে নিয়ে এস। তুমি তাদের মিলন-তাম্বুর কাছে এসে তোমার সংগে দাঁড়াতে বল।
17. আমি সেখানে নেমে এসে তোমার সংগে কথা বলব। তোমার উপর যে রূহ্ রয়েছেন আমি তাঁকে তাদের উপরেও দেব। লোকদের বোঝা বয়ে নিতে তারাই তোমাকে সাহায্য করবে। তাতে তোমাকে আর একা বোঝা বইতে হবে না।
18. তুমি লোকদের বল, ‘তোমরা নিজেদের পাক-পবিত্র করে নিয়ে কালকের জন্য প্রস্তুত হও, কারণ কালকেই তোমরা গোশ্ত খেতে পাবে। তোমরা মাবুদের কাছে কেঁদে কেঁদে গোশ্ত খাবার কথা বলেছিলে আর জানিয়েছিলে যে, এর চেয়ে মিসর দেশেই তোমরা ভাল ছিলে। তাই এখন তিনি তোমাদের গোশ্ত দেবেন আর তোমরা তা খাবে।
19. সেই গোশ্ত যে তোমরা কেবল একদিন, দু’দিন, পাঁচ দিন, দশ দিন কিংবা বিশ দিন খাবে তা নয়,
20. খাবে গোটা এক মাস ধরে। তখন সেই গোশ্ত তোমাদের নাক দিয়ে বেরিয়ে আসবে আর গোশ্তে তোমাদের অরুচি ধরে যাবে। এই সব হবে কারণ যিনি তোমাদের মধ্যে রয়েছেন সেই মাবুদকে তোমরা অগ্রাহ্য করেছ আর তাঁর সামনে কেঁদে কেঁদে বলেছ যে, মিসর দেশ ছেড়ে আসা তোমাদের উচিত হয় নি।’ ”
21. এই কথা শুনে মূসা বললেন, “যুদ্ধ করবার মত লোকই আমার সংগে রয়েছে ছয় লক্ষ, আর তুমি বলছ পুরো এক মাস ধরে তুমি তাদের গোশ্ত খেতে দেবে।
22. তাদের গরু-ভেড়া সমস্ত কাটলেও তাদের পক্ষে যথেষ্ট হবে না। সমুদ্রের সমস্ত মাছ ধরে আনলেও তাতে তাদের কুলাবে না।”
23. জবাবে মাবুদ মূসাকে বললেন, “মাবুদের কুদরত কি এতই কম? আমার কথাটা তোমার কাছে সত্যি হয়ে ওঠে কি না তা তুমি এবার দেখতে পাবে।”
24. এই কথা শুনে মূসা বাইরে গিয়ে মাবুদ যা বলেছেন তা লোকদের জানালেন। তিনি বনি-ইসরাইলদের সত্তরজন বৃদ্ধ নেতাকে এনে মিলন-তাম্বুর সামনে দাঁড় করালেন।
25. তখন মাবুদ সেই মেঘে ঘেরাও হয়ে নেমে এসে মূসার সংগে কথা বললেন। মূসার উপর যে রূহ্ ছিলেন তাঁকে তিনি ঐ সত্তরজন বৃদ্ধ নেতার উপরেও দিলেন। যখন সেই রূহ্ তাঁদের উপর আসলেন তখন কিছুকালের জন্য তাঁরা নবী হিসাবে কথা বললেন।
26. ইল্দদ আর মেদদ নামে দু’জন লোক ছাউনির মধ্যেই রয়ে গিয়েছিলেন। বেছে নেওয়া বৃদ্ধ নেতাদের মধ্যে এই দু’জনও ছিলেন, কিন্তু তারা মিলন-তাম্বুর কাছে যান নি। তবুও তাঁদের উপর সেই রূহ্ এসেছিলেন। তাতে তাঁরাও ঐ সময় ছাউনির মধ্যে নবী হিসাবে কথা বলতে লাগলেন।
27. একজন যুবক দৌড়ে গিয়ে মূসাকে বললেন, “ইল্দদ আর মেদদ ছাউনির ভিতরে নবী হিসাবে কথা বলছেন।”
28. তখন নূনের ছেলে ইউসা মূসাকে বললেন, “হে আমার প্রভু, ওদের চুপ করবার নির্দেশ দিন।” ইউসা যুবা বয়স থেকে মূসার সাহায্যকারী ছিলেন।
29. জবাবে মূসা বললেন, “আমার মান-সম্মান টাই তোমার কাছে বড় হয়ে উঠল? আমি চাই মাবুদের সব লোকেরাই যেন নবী হয় এবং মাবুদ যেন তাঁর রূহ্ তাদের উপর দেন।”