1. ঘৃণ্য যারা সাহায্যের জন্য মিসরে যায়! তারা তো ঘোড়ার উপরে ভরসা করে আর তাদের অসংখ্য রথের উপর এবং ঘোড়সওয়ারদের মহাশক্তির উপর বিশ্বাস রাখে, কিন্তু তারা ইসরাইলের আল্লাহ্ পাকের দিকে তাকায় না কিংবা মাবুদের কাছ থেকে সাহায্য চায় না।
2. কিন্তু তাঁর কি কোন জ্ঞান নেই? তিনি তো বিপদ ঘটাবেন; তাঁর কথা তিনি ফিরিয়ে নেবেন না। তিনি দুষ্টদের বিরুদ্ধে আর তাদের সাহায্যকারীদের বিরুদ্ধে উঠবেন।
3. মিসরীয়রা তো মানুষ, তারা আল্লাহ্ নয়; তাদের ঘোড়াগুলো গোশ্তের, সেগুলো রূহ্ নয়। মাবুদ যখন তাঁর হাত তুলবেন তখন সাহায্যকারীরা উচোট খাবে আর যারা সাহায্য পায় তারা পড়ে যাবে; তারা সবাই একসংগে ধ্বংস হয়ে যাবে।
4. মাবুদ আমাকে এই কথা বলছেন, “সিংহ তার শিকারের পশু নিয়ে গর্জন করবার সময় রাখালদের দল তার বিরুদ্ধে চিৎকার ও গোলমাল করলেও সে ভয় কিংবা বাধা পায় না। ঠিক তেমনি করে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন যুদ্ধ করবার জন্য সিয়োন পাহাড় ও তার উঁচু জায়গাগুলোতে নেমে আসবেন।
5. পাখীরা যেমন বাসার উপর উড়তে থাকে, আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন তেমনি করে জেরুজালেমকে ঢেকে রাখবেন। তিনি তাকে ঢেকে রাখবেন ও উদ্ধার করবেন, আর তার উপর দিয়ে গিয়ে তাকে রক্ষা করবেন।”
6. হে বনি-ইসরাইলরা, তোমরা যাঁর বিরুদ্ধে এত বিদ্রোহ করেছ তাঁর কাছে ফিরে এস,
7. কারণ সেই দিন তোমরা সবাই যে সব সোনা ও রূপার মূর্তি তৈরী করে গুনাহ্ করেছ সেগুলো দূর করে দেবে।
8. মাবুদ বলছেন, “মানুষের নয় এমন একটা তলোয়ারের আঘাতে আশেরিয়া পড়ে যাবে; সেই তলোয়ার তাকে গ্রাস করবে। তার লোকেরা তলোয়ারের সামনে থেকে পালিয়ে যাবে আর তাদের যুবকদের জোর করে খাটানো হবে।
9. তাদের বাদশাহ্ ভয়ে পালিয়ে যাবে; তার সেনাপতিরা নিশান দেখে দারুণ ভয় পাবে।” সিয়োনে যাঁর আগুন আছে, আর জেরুজালেমে আছে চুলা, সেই মাবুদই এই কথা বলছেন।