5. তখন রাজা দায়ূদ লো-দবারে লোক পাঠিয়ে অম্মীয়েলের ছেলে মাখীরের বাড়ী থেকে তাঁকে আনালেন।
6. শৌলের নাতি, অর্থাৎ যোনাথনের ছেলে মফীবোশৎ দায়ূদের কাছে গিয়ে তাঁর সামনে মাটির উপর উবুড় হয়ে পড়ে তাঁকে সম্মান দেখালেন। দায়ূদ বললেন, “মফীবোশৎ।”তিনি বললেন, “বলুন, আমি আপনার দাস।”
7. দায়ূদ তাঁকে বললেন, “তুমি ভয় কোরো না। আমি তোমাকে ভালবাসা দেখিয়ে তোমার বাবা যোনাথনের প্রতি অবশ্যই বিশ্বস্ত থাকব। তোমার দাদু শৌলের সমস্ত জমি-জায়গা আমি তোমাকে ফিরিয়ে দেব, আর তুমি সব সময় আমার টেবিলে খাওয়া-দাওয়া করবে।”
8. এই কথা শুনে মফীবোশৎ তাঁকে প্রণাম করে বললেন, “আপনার এই দাস এমন কি যে, আপনি আমার মত একটা মরা কুকুরের দিকে খেয়াল করবেন?”
9. রাজা তখন শৌলের চাকর সীবঃকে ডেকে বললেন, “শৌল ও তাঁর পরিবারের যা কিছু ছিল তা সব আমি তোমার মনিবের নাতিকে দিলাম।
10. তুমি, তোমার ছেলেরা এবং তোমার চাকরেরা তার জমি চাষ করে ফসল তুলবে যাতে তোমার মনিবের নাতির খাবারের যোগান থাকে; কিন্তু তোমার মনিবের নাতি মফীবোশৎ সব সময় আমার টেবিলে খাওয়া-দাওয়া করবে।” সীবের পনেরটি ছেলে এবং বিশজন চাকর ছিল।
11. এই কথা শুনে সীবঃ রাজাকে বলল, “আমার মনিব মহারাজ তাঁর দাসকে যা করতে বলবেন সে তা-ই করবে।” মফীবোশৎ এর পর থেকে রাজার একজন ছেলের মতই রাজার টেবিলে খাওয়া-দাওয়া করতে লাগলেন।
12. মীখা নামে মফীবোশতের একটি ছোট ছেলে ছিল; সীবের ঘরের সবাই ছিল মফীবোশতের চাকর।
13. রাজার টেবিলে খাওয়া-দাওয়া করতেন বলে মফীবোশৎ যিরূশালেমে থাকতেন। তাঁর দু’টা পা-ই ছিল খোঁড়া।