16. যিরূশালেম ধ্বংস করবার জন্য স্বর্গদূত যখন হাত বাড়ালেন তখন সদাপ্রভু সেই ভীষণ শাস্তি দেওয়া থেকে মন ফিরালেন। যে স্বর্গদূত লোকদের ধ্বংস করছিলেন তিনি তাঁকে বললেন, “থাক্, যথেষ্ট হয়েছে। তোমার হাত গুটিয়ে নাও।” সেই সময় সদাপ্রভুর দূত যিবূষীয় অরৌণার খামারের কাছে ছিলেন।
17. যে স্বর্গদূত লোকদের আঘাত করছিলেন দায়ূদ তাঁকে দেখে সদাপ্রভুকে বললেন, “পাপ এবং অন্যায় করেছি আমি। ওরা তো ভেড়ার মত। ওরা কি করেছে? কাজেই আমাকে ও আমার বাবার বংশকে তুমি শাস্তি দাও।” দায়ূদ একটা বেদী তৈরী করলেন
18. সেই দিন গাদ দায়ূদের কাছে গিয়ে বললেন, “আপনি যিবূষীয় অরৌণার খামারে গিয়ে ঈশ্বরের উদ্দেশে সেখানে একটা বেদী তৈরী করুন।”
19. তখন দায়ূদ সদাপ্রভুর আদেশ মতই গাদের কথা অনুসারে সেখানে গেলেন।
20. অরৌণা যখন রাজা ও তাঁর লোকদের তার দিকে আসতে দেখল তখন সে গিয়ে রাজার সামনে মাটিতে উবুড় হয়ে পড়ে তাঁকে প্রণাম করল।
21. অরৌণা বলল, “আমার প্রভু মহারাজ তাঁর দাসের কাছে কি জন্য এসেছেন?”উত্তরে দায়ূদ বললেন, “সদাপ্রভুর উদ্দেশে একটা বেদী তৈরী করবার জন্য আমি তোমার খামারটা কিনে নিতে চাই, যাতে লোকদের উপরে আসা এই মড়কটা থেমে যায়।”
22. অরৌণা দায়ূদকে বলল, “আমার প্রভু মহারাজের যা ভাল মনে হয় তা-ই আমার এখান থেকে নিয়ে উৎসর্গ করুন। পোড়ানো-উৎসর্গের জন্য এখানে ষাঁড় রয়েছে আর কাঠের জন্য রয়েছে ফসল মাড়াইয়ের যন্ত্র ও ষাঁড়গুলোর জোয়াল।
23. হে মহারাজ, অরৌণা রাজাকে এই সবই দিচ্ছে।” অরৌণা তাঁকে আরও বলল, “আপনার ঈশ্বর সদাপ্রভু যেন আপনার উৎসর্গ গ্রহণ করেন।”
24. উত্তরে রাজা অরৌণাকে বললেন, “না, তা হবে না। আমি নিশ্চয়ই দাম দিয়ে এগুলো কিনে নেব। বিনামূল্যে পাওয়া এমন কোন কিছু আমি আমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশে পোড়ানো-উৎসর্গ হিসাবে দেব না।”এই বলে দায়ূদ পঞ্চাশ শেখেল রূপা দিয়ে সেই খামারটা এবং ষাঁড়গুলো কিনে নিলেন।
25. তারপর তিনি সেখানে সদাপ্রভুর উদ্দেশে একটা বেদী তৈরী করলেন এবং পোড়ানো-উৎসর্গ ও যোগাযোগ-উৎসর্গের অনুষ্ঠান করলেন। এইভাবে দেশের জন্য প্রার্থনা করা হলে পর সদাপ্রভু তা শুনলেন আর ইস্রায়েল দেশের মড়ক থেমে গেল। ॥ভব