13. দায়ূদ সেখান থেকে শৌল ও তাঁর ছেলে যোনাথনের হাড়গুলো নিয়ে আসলেন। যাদের সকলের সামনে মেরে ফেলা হয়েছিল তাদের হাড়গুলোও জড়ো করা হল।
14. দায়ূদের লোকেরা শৌল ও তাঁর ছেলে যোনাথনের হাড় বিন্যামীন এলাকার সেলাতে তাঁর বাবা কীশের কবরে রাখল। রাজার আদেশ মতই তারা সব কিছু করল। তার পরে দেশের জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করা হলে পর তিনি উত্তর দিলেন।
15. পলেষ্টীয় এবং ইস্রায়েলীয়দের মধ্যে আবার যুদ্ধ শুরু হল। দায়ূদ তাঁর লোকদের নিয়ে পলেষ্টীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গেলেন। যুদ্ধ করতে করতে তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়লেন।
16. তখন যিশ্বী-বনোব নামে একজন রফায়ীয় নতুন সাজে সেজে দায়ূদকে মেরে ফেলতে আসল। তার বর্শার ব্রোঞ্জের মাথাটার ওজন ছিল প্রায় চার কেজি।
17. কিন্তু সরূয়ার ছেলে অবীশয় দায়ূদকে রক্ষা করলেন। তিনি সেই পলেষ্টীয়কে আঘাত করে মেরে ফেললেন। তখন দায়ূদের লোকেরা শপথ করে দায়ূদকে বলল, “আপনি আর কখনও আমাদের সংগে যুদ্ধে যাবেন না, ইস্রায়েলের প্রদীপটা আপনি নিভিয়ে দেবেন না।”
18. এর পরে গোবে পলেষ্টীয়দের সংগে আবার একটা যুদ্ধ হল। সেই সময় হূশাতীয় সিব্বখয় সফ নামে একজন রফায়ীয়কে মেরে ফেলল।
19. গোবে পলেষ্টীয়দের সংগে আর একটা যুদ্ধে বৈৎলেহমীয় যারে-ওরগীমের ছেলে ইল্হানন গাতীয় গলিয়াত্কে মেরে ফেলল। এই গলিয়াতের বর্শা ছিল তাঁতীদের বীমের মত।
20. আর একটা যুদ্ধ গাতে হয়েছিল। সেই যুদ্ধে একজন লম্বা-চওড়া লোক ছিল যার দু’হাতে ও দু’পায়ে ছয়টা করে মোট চব্বিশটা আংগুল ছিল। সে-ও ছিল একজন রফায়ীয়।
21. সে যখন ইস্রায়েল জাতিকে টিট্কারি দিল তখন দায়ূদের ভাই শিমিয়ের ছেলে যোনাথন তাকে মেরে ফেলল।
22. এই চারজন ছিল গাতে বাসকারী রফায়ীয়। দায়ূদ ও তাঁর লোকদের হাতে এরা মারা পড়েছিল।