4. এর পর রাজা অমাসাকে বললেন, “তিন দিনের মধ্যে তুমি যিহূদার লোকদের আমার কাছে ডেকে আনবে আর তুমিও এখানে থাকবে।”
5. অমাসা যিহূদার লোকদের ডাকতে গেলেন বটে কিন্তু রাজা এইজন্য যে সময় ঠিক করে দিয়েছিলেন তার চেয়ে তিনি বেশী সময় নিলেন।
6. তখন দায়ূদ অবীশয়কে বললেন, “অবশালোম আমাদের যত না ক্ষতি করেছে তার চেয়ে এখন বেশী ক্ষতি করবে এই বিখ্রির ছেলে শেবঃ। এখন তুমি আমার লোকদের নিয়ে তার পিছনে তাড়া করে যাও। নইলে সে কোন দেয়াল-ঘেরা শহর খুঁজে নিয়ে আমাদের কাছ থেকে পালিয়ে যাবে।”
7. তখন যোয়াব ও তাঁর লোকেরা, করেথীয় ও পলেথীয়েরা এবং বাকী যোদ্ধারা অবীশয়ের অধীনে বিখ্রির ছেলে শেবঃকে তাড়া করবার জন্য যিরূশালেম থেকে বের হয়ে গেল।
8. তারা গিবিয়োনের বড় পাথরটার কাছে উপস্থিত হলে পর অমাসার সংগে তাদের দেখা হল। যোয়াবের পরনে ছিল তখন সৈনিকের পোশাক এবং তাঁর কোমরে কোমর-বাঁধনির সংগে বাঁধা খাপের মধ্যে ছিল ছোরা। তিনি এগিয়ে গেলে খাপ থেকে ছোরাটা মাটিতে পড়ে গেল।
9. যোয়াব অমাসাকে বললেন, “ভাই, কেমন আছ?” এই বলে তাঁকে চুম্বন করবার জন্য তিনি ডান হাত দিয়ে তাঁর দাড়ি ধরলেন।
10. যোয়াবের হাতে যে সেই ছোরাটা ছিল সেই দিকে অমাসা খেয়াল করে নি। যোয়াব সেই ছোরা তাঁর পেটে ঢুকিয়ে দিলেন। তাতে তাঁর নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে মাটিতে পড়ল। অমাসাকে আর আঘাত করবার দরকার হল না। তিনি মারা গেলেন। এর পর যোয়াব ও তাঁর ভাই অবীশয় বিখ্রির ছেলে শেবের পিছনে তাড়া করে গেলেন।
11. যোয়াবের একজন লোক অমাসার মৃতদেহের কাছে দাঁড়িয়ে বলল, “যে যোয়াবকে ভালবাসে এবং যে দায়ূদের পক্ষের লোক সে যেন যোয়াবের পিছনে পিছনে যায়।”
12. অমাসার দেহটা তখন রাস্তার মাঝখানে রক্তের মধ্যে পড়ে ছিল। যোয়াবের সেই লোকটি দেখল যে, সৈন্যেরা সবাই অমাসার কাছে এসে থেমে যাচ্ছে, তাই সে অমাসাকে রাস্তা থেকে টেনে একটা মাঠে নামিয়ে নিয়ে গেল এবং একখানা কাপড় দিয়ে তাকে ঢেকে দিল।
13. অমাসাকে রাস্তা থেকে সরিয়ে নিলে পর সব লোকেরা যোয়াবের পিছনে পিছনে বিখ্রির ছেলে শেবঃকে তাড়া করতে গেল।
14. শেবঃ ইস্রায়েলের সমস্ত গোষ্ঠীর এলাকার মধ্য দিয়ে এবং বেরীয়দের সমস্ত এলাকা দিয়ে আবেল-বৈৎমাখা পর্যন্ত গেল। সেখানে লোকেরা জড়ো হয়ে শেবের পিছনে পিছনে শহরে ঢুকল।
17. যোয়াব তার দিকে এগিয়ে গেলে পর সে জিজ্ঞাসা করল, “আপনি কি যোয়াব?”তিনি বললেন, “হ্যাঁ, আমি যোয়াব।”স্ত্রীলোকটি বলল, “আপনার দাসীর কথা শুনুন।”তিনি বললেন, “শুনছি।”