17. যোয়াব তার দিকে এগিয়ে গেলে পর সে জিজ্ঞাসা করল, “আপনি কি যোয়াব?”তিনি বললেন, “হ্যাঁ, আমি যোয়াব।”স্ত্রীলোকটি বলল, “আপনার দাসীর কথা শুনুন।”তিনি বললেন, “শুনছি।”
18. স্ত্রীলোকটি বলল, “আগেকার দিনে লোকে বলত, ‘আবেলে গিয়ে তোমার প্রশ্নের উত্তর জেনে নাও।’ আর এইভাবে তারা সব ব্যাপারের মীমাংসা করত।
19. আমরা ইস্রায়েলের মধ্যে শান্তিপ্রিয় ও বিশ্বস্ত। আপনি ইস্রায়েলের মধ্যে মায়ের মত এই শহরটাকে ধ্বংস করে দিতে চাইছেন। সদাপ্রভুর সম্পত্তি এই ইস্রায়েলীয়দের কেন আপনি গিলে ফেলবার চেষ্টা করছেন?”
20. উত্তরে যোয়াব বললেন, “গিলে ফেলা বা ধ্বংস করবার কাজ আমার থেকে দূরে থাকুক, দূরে থাকুক।
21. ব্যাপারটা ঐরকম নয়। ইফ্রয়িমের পাহাড়ী এলাকার বিখ্রির ছেলে শেবঃ নামে একজন লোক রাজা দায়ূদের বিরুদ্ধে হাত তুলেছে। সেই লোকটাকে কেবল আমার হাতে তুলে দাও, তাহলে আমি এই শহর থেকে চলে যাব।”স্ত্রীলোকটি যোয়াবকে বলল, “দেয়ালের উপর দিয়ে তার মাথাটা আপনার কাছে ছুঁড়ে দেওয়া হবে।”
22. তারপর সেই স্ত্রীলোকটি সমস্ত লোকের কাছে গিয়ে জ্ঞানপূর্ণ উপদেশ দিল। লোকেরা বিখ্রির ছেলে শেবের মাথাটা কেটে নিয়ে যোয়াবের কাছে ছুঁড়ে ফেলে দিল। যোয়াব তখন শিংগা বাজিয়ে দিলেন আর তাঁর লোকেরা শহরের কাছ থেকে চলে গিয়ে প্রত্যেকে যে যার বাড়ীতে চলে গেল। যোয়াব যিরূশালেমে রাজার কাছে ফিরে গেলেন।
23. যোয়াব ছিলেন ইস্রায়েলের গোটা সৈন্যদলের প্রধান সেনাপতি আর যিহোয়াদার ছেলে বনায় ছিলেন দায়ূদের দেহরক্ষী করেথীয় ও পলেথীয়দের প্রধান;
24. যাদের কাজ করতে বাধ্য করা হত তাদের দেখাশোনার ভার ছিল অদোরামের উপর; অহীলূদের ছেলে যিহোশাফট ছিলেন ইতিহাস লেখক;
25. শবা ছিলেন রাজার লেখক; সাদোক ও অবিয়াথর ছিলেন পুরোহিত
26. এবং যায়ীরীয় ঈরা ছিলেন দায়ূদের পরামর্শদাতা পুরোহিত।