6. তিনি যেন এখন তাঁর অটল ভালবাসা ও বিশ্বস্ততা আপনাদের দেখান, আর আপনাদের সেই কাজের জন্য আমিও আপনাদের সংগে ভাল ব্যবহার করব।
7. কাজেই এখন আপনারা শক্ত হন ও বুকে সাহস রাখুন। আপনাদের মনিব শৌল মারা গেছেন এবং যিহূদা-গোষ্ঠীর লোকেরা আমাকে তাদের উপর রাজা হিসাবে অভিষেক করেছে।”
8. এই সময়ের মধ্যে শৌলের সৈন্যদলের সেনাপতি নেরের ছেলে অব্নের শৌলের ছেলে ঈশ্বোশত্কে যর্দন নদীর ওপারে মহনয়িমে নিয়ে গিয়েছিলেন।
9. তিনি ঈশ্বোশত্কে গিলিয়দ, অশূর, যিষ্রিয়েল, ইফ্রয়িম, বিন্যামীন, এমন কি, সমস্ত ইস্রায়েল দেশের উপর রাজা করেছিলেন।
10. শৌলের ছেলে ঈশ্বোশৎ চল্লিশ বছর বয়সে ইস্রায়েল দেশের রাজা হয়েছিলেন এবং দু’বছর রাজত্ব করেছিলেন। কিন্তু যিহূদা-গোষ্ঠীর লোকেরা দায়ূদের অধীনে ছিল।
11. দায়ূদ হিব্রোণে থেকে যিহূদা-গোষ্ঠীর উপর সাড়ে সাত বছর রাজত্ব করেছিলেন।
12. এক দিন নেরের ছেলে অব্নের শৌলের ছেলে ঈশ্বোশতের লোকদের নিয়ে মহনয়িম থেকে গিবিয়োনে গেলেন।
13. তখন সরূয়ার ছেলে যোয়াব ও দায়ূদের লোকেরা বের হয়ে আসলেন। গিবিয়োনের পুকুরের কাছে এই দুই দল সামনাসামনি হল। এক দল বসল পুকুরের এপারে আর অন্য দল বসল পুকুরের ওপারে।
14. তখন অব্নের যোয়াবকে বললেন, “দু’দলের কয়েকজন যুবক উঠে আমাদের সামনে যুদ্ধ করুক।”যোয়াব বললেন, “বেশ, তা-ই হোক।”
15. বিন্যামীন-গোষ্ঠীর ও শৌলের ছেলে ঈশ্বোশতের পক্ষ থেকে বারোজনকে আর দায়ূদের পক্ষ থেকে বারোজনকে যুদ্ধ করবার জন্য বেছে নেওয়া হল।
16. তখন দুই দলের লোকেরা প্রত্যেকেই একে অন্যের মাথা ধরে পাঁজরে ছোরা ঢুকিয়ে দিল এবং একসংগে মাটিতে পড়ে মারা গেল। সেইজন্য গিবিয়োনের সেই জায়গাটার নাম দেওয়া হল হিল্কৎ-হৎসূরীম (যার মানে “ছোরার মাঠ”)।
17. সেই দিন এক ভীষণ যুদ্ধ হল আর তাতে অব্নের ও ইস্রায়েলের লোকেরা দায়ূদের লোকদের কাছে হেরে গেল।