23. অসাহেল তবুও ফিরতে রাজী হল না। তখন অব্নের তাঁর বর্শার পিছন দিকটা অসাহেলের পেটের ভিতরে এমনভাবে ঢুকিয়ে দিলেন যে, বর্শাটা তার পিঠ ফুঁড়ে বের হল। অসাহেল সেখানেই পড়ে মারা গেল। অসাহেল যে জায়গায় পড়ে মারা গিয়েছিল যত লোক সেই জায়গায় আসল তারা প্রত্যেকে সেখানে দাঁড়িয়ে রইল,
24. কিন্তু যোয়াব ও অবীশয় অব্নেরের পিছনে তাড়া করে গেলেন। এইভাবে তাঁরা গিবিয়োনের মরু-এলাকার মধ্য দিয়ে যাবার পথে গীহের সামনে অম্মা পাহাড়ের কাছে উপস্থিত হলেন। তখন সূর্য অস্ত যাচ্ছিল।
25. অব্নেরের পিছনে তখন বিন্যামীন-গোষ্ঠীর লোকেরা জড়ো হয়েছিল। তারা এক দল হয়ে একটা পাহাড়ের উপরে গিয়ে দাঁড়াল।
26. তখন অব্নের যোয়াবকে ডেকে বললেন, “তলোয়ার কি চিরকাল গিল্তেই থাকবে? শেষে যে সব কিছু তেতো হয়ে উঠবে তা কি তুমি বুঝতে পারছ না? কখন তুমি তোমার লোকদের তাদের ভাইদের পিছনে তাড়া করা বন্ধ করতে হুকুম দেবে?”
27. উত্তরে যোয়াব বললেন, “জীবন্ত ঈশ্বরের দিব্য, তুমি কথা না বললেও সকালে লোকেরা তাদের ভাইদের তাড়া করা বন্ধ করত।”
28. এই বলে তিনি তূরী বাজালেন। তখন সমস্ত লোক থেমে গেল। তারা আর ইস্রায়েলীয়দের পিছনে তাড়া করল না এবং যুদ্ধও করল না।
29. অব্নের ও তাঁর লোকেরা সারা রাত অরাবা সমভূমির মধ্য দিয়ে হেঁটে গিয়ে যর্দন নদী পার হল। তারপর বিথ্রোণের মধ্য দিয়ে হেঁটে তারা মহনয়িমে গিয়ে উপস্থিত হল।
30. যোয়াব অব্নেরের পিছনে তাড়া করা বাদ দিয়ে ফিরে গেলেন। তিনি তাঁর লোকদের জড়ো করলে পর দেখা গেল অসাহেল নেই আর দায়ূদের ঊনিশজন লোক নেই।
31. তবে যে বিন্যামীনীয়েরা অব্নেরের সংগে ছিল দায়ূদের লোকেরা তাদের তিনশো ষাটজনকে মেরে ফেলেছিল।
32. তারা অসাহেলকে তুলে নিয়ে বৈৎলেহমে গেল এবং তার বাবার কবরের মধ্যে তাকে কবর দিল। তারপর যোয়াব ও তাঁর লোকেরা সারা রাত হেঁটে ভোর বেলায় হিব্রোণে গিয়ে পৌঁছাল।