17. সেই দিন এক ভীষণ যুদ্ধ হল আর তাতে অব্নের ও ইস্রায়েলের লোকেরা দায়ূদের লোকদের কাছে হেরে গেল।
18. যোয়াব, অবীশয় ও অসাহেল নামে সরূয়ার তিন ছেলে সেখানে ছিল। অসাহেল বুনো হরিণের মত জোরে দৌড়াতে পারত।
19. সে অব্নেরের পিছনে তাড়া করল এবং ডানে-বাঁয়ে না গিয়ে সোজা তাঁর পিছনে পিছনে ছুটল।
20. অব্নের পিছন ফিরে তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কি অসাহেল?”অসাহেল বলল, “হ্যাঁ, ঠিক বলেছেন।”
21. তখন অব্নের তাকে বললেন, “তুমি ডানে বা বাঁয়ে ফিরে কোন যুবককে হারিয়ে দিয়ে তার যুদ্ধের সাজ-সরঞ্জাম নিয়ে নাও।” কিন্তু অসাহেল তাঁর পিছনে তাড়া করেই চলল।
22. অব্নের অসাহেলকে আবার বললেন, “থাম, আমাকে তাড়া কোরো না। আমি তোমাকে মেরে ফেলতে চাই না। তা করলে আমি কেমন করে তোমার ভাই যোয়াবকে মুখ দেখাব?”
23. অসাহেল তবুও ফিরতে রাজী হল না। তখন অব্নের তাঁর বর্শার পিছন দিকটা অসাহেলের পেটের ভিতরে এমনভাবে ঢুকিয়ে দিলেন যে, বর্শাটা তার পিঠ ফুঁড়ে বের হল। অসাহেল সেখানেই পড়ে মারা গেল। অসাহেল যে জায়গায় পড়ে মারা গিয়েছিল যত লোক সেই জায়গায় আসল তারা প্রত্যেকে সেখানে দাঁড়িয়ে রইল,
24. কিন্তু যোয়াব ও অবীশয় অব্নেরের পিছনে তাড়া করে গেলেন। এইভাবে তাঁরা গিবিয়োনের মরু-এলাকার মধ্য দিয়ে যাবার পথে গীহের সামনে অম্মা পাহাড়ের কাছে উপস্থিত হলেন। তখন সূর্য অস্ত যাচ্ছিল।
25. অব্নেরের পিছনে তখন বিন্যামীন-গোষ্ঠীর লোকেরা জড়ো হয়েছিল। তারা এক দল হয়ে একটা পাহাড়ের উপরে গিয়ে দাঁড়াল।
26. তখন অব্নের যোয়াবকে ডেকে বললেন, “তলোয়ার কি চিরকাল গিল্তেই থাকবে? শেষে যে সব কিছু তেতো হয়ে উঠবে তা কি তুমি বুঝতে পারছ না? কখন তুমি তোমার লোকদের তাদের ভাইদের পিছনে তাড়া করা বন্ধ করতে হুকুম দেবে?”
27. উত্তরে যোয়াব বললেন, “জীবন্ত ঈশ্বরের দিব্য, তুমি কথা না বললেও সকালে লোকেরা তাদের ভাইদের তাড়া করা বন্ধ করত।”