7. চার বছর পরে অবশালোম রাজাকে বলল, “আমি সদাপ্রভুর কাছে যে মানত করেছি তা পূরণ করবার জন্য আমাকে হিব্রোণে যেতে দিন।
8. আপনার দাস আমি অরামের গশূরে থাকবার সময় মানত করে বলেছিলাম, ‘সদাপ্রভু যদি আমাকে যিরূশালেমে ফিরিয়ে নিয়ে যান তবে আমি হিব্রোণে গিয়ে সদাপ্রভুর উদ্দেশে উৎসর্গের অনুষ্ঠান করব।’ ”
9. রাজা তাকে বললেন, “শান্তিতে যাও।” তখন অবশালোম হিব্রোণে গেল।
10. অবশালোম ইস্রায়েলের সমস্ত গোষ্ঠীর কাছে এই কথা বলে গোপনে লোক পাঠাল, “তোমরা যেই তূরীর আওয়াজ শুনবে অমনি বলবে, ‘অবশালোম হিব্রোণে রাজা হলেন।’ ”
11. যিরূশালেম থেকে দু’শো লোক অবশালোমের সংগে গিয়েছিল। অতিথি হিসাবে তাদের ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আর তারা কোন কিছু না জেনেই সরল মনে তার সংগে গিয়েছিল।
12. উৎসর্গের অনুষ্ঠান করবার সময় অবশালোম দায়ূদের গীলোনীয় মন্ত্রী অহীথোফলকে তার গ্রাম গীলো থেকে ডেকে আনাল। ষড়যন্ত্রটা বেশ জোরালো হয়ে উঠল, কারণ অবশালোমের পক্ষের লোক একের পর এক বেড়ে যেতে লাগল।
13. পরে একজন লোক দায়ূদের কাছে এসে বলল, “ইস্রায়েলীয়দের মন অবশালোমের দিকে গেছে।”
14. যিরূশালেমে দায়ূদের যে সব কর্মচারীরা তাঁর সংগে ছিল তিনি তাদের বললেন, “চল, আমরা পালিয়ে যাই। তা না হলে আমরা কেউই অবশালোমের হাত থেকে রক্ষা পাব না। আমাদের এক্ষুনি বেরিয়ে পড়তে হবে, নইলে সে তাড়াতাড়ি এসে আমাদের ভীষণ বিপদে ফেলবে আর শহরের সবাইকে শেষ করে দেবে।”
15. রাজার কর্মচারীরা তাঁকে বলল, “আমাদের প্রভু মহারাজের যা ইচ্ছা আমরা তা-ই করতে প্রস্তুত আছি।”
16. তখন রাজা রওনা হলেন আর তাঁর বাড়ীর সবাই তাঁর পিছনে পিছনে চলল। রাজবাড়ীটা দেখাশোনা করবার জন্য তিনি দশজন উপস্ত্রীকে রেখে গেলেন।
17. রাজা ও তাঁর সংগের সমস্ত লোক যেতে যেতে শহরের শেষ সীমানায় গিয়ে থামলেন।
18. দায়ূদের সমস্ত লোক তাঁর সামনে দিয়ে এগিয়ে গেল। তাদের মধ্যে ছিল করেথীয়, পলেথীয় আর ছ’শো গাতীয় লোক যারা আগে গাৎ থেকে রাজার সংগে চলে এসেছিল।
19. রাজা তখন গাতীয় ইত্তয়কে বললেন, “আমাদের সংগে কেন তুমি যাচ্ছ? তুমি ফিরে গিয়ে রাজা অবশালোমের সংগে থাক। তুমি তো বিদেশী; তোমার নিজের দেশ থেকে তুমি বের হয়ে এসেছ।