27. তারপর রাজা পুরোহিত সাদোককে বললেন, “আপনি তো সবই দেখতে পাচ্ছেন। আপনার ছেলে অহীমাস ও অবিয়াথরের ছেলে যোনাথনকে সংগে করে আপনি শান্তিতে শহরে ফিরে যান।
28. যে পর্যন্ত না আমাকে জানাবার জন্য আপনাদের কাছ থেকে খবর আসে সেই পর্যন্ত আমি মরু-এলাকার মধ্যে নদীর যে জায়গাটা হেঁটে পার হওয়া যায় সেখানে অপেক্ষা করতে থাকব।”
29. কাজেই সাদোক ও অবিয়াথর ঈশ্বরের সিন্দুকটি নিয়ে যিরূশালেমে ফিরে গেলেন এবং সেখানেই থাকলেন।
30. এদিকে দায়ূদ কাঁদতে কাঁদতে জৈতুন পাহাড়ের উপর উঠতে লাগলেন। তিনি মাথা ঢেকে খালি পায়ে হাঁটছিলেন। লোকেরাও সকলে তাঁর সংগে মাথা ঢেকে কাঁদতে কাঁদতে উপরে উঠতে লাগল।
31. তখন দায়ূদকে কেউ বলল, “অবশালোমের সংগে ষড়যন্ত্রকারীদের মধ্যে অহীথোফলও আছে।” এই কথা শুনে দায়ূদ এই বলে প্রার্থনা করলেন, “হে সদাপ্রভু, তুমি অহীথোফলের পরামর্শকে বিফল করে দাও।”
32. লোকেরা পাহাড়ের উপরে যে জায়গায় ঈশ্বরের উপাসনা করত দায়ূদ সেখানে উপস্থিত হলে পর অর্কীয় হূশয় তাঁর সংগে দেখা করতে আসলেন। তাঁর পোশাক ছেঁড়া এবং মাথায় ধুলা ছিল।
33. দায়ূদ তাঁকে বললেন, “তুমি আমার সংগে গেলে আমার বোঝা বাড়বে।
34. কিন্তু তুমি শহরে ফিরে গিয়ে যদি অবশালোমকে বল, ‘হে মহারাজ, আমি আপনার দাস হয়ে থাকব; আমি যেমন আগে আপনার বাবার দাস ছিলাম তেমনি এখন আপনার দাস হব,’ তাহলে তুমি অহীথোফলের দেওয়া পরামর্শকে অকেজো করে দিয়ে আমাকে সাহায্য করতে পারবে।
35. পুরোহিত সাদোক ও অবিয়াথর সেখানে তোমার সংগে থাকবেন। রাজবাড়ীতে তুমি যা শুনবে তা তাঁদের জানাবে।
36. সাদোকের ছেলে অহীমাস ও অবিয়াথরের ছেলে যোনাথনও সেখানে তাঁদের সংগে আছেন। কিছু শুনলে পর তাঁদের দিয়েই তা আমাকে জানিয়ে দেবে।”
37. দায়ূদের বন্ধু হূশয় যখন যিরূশালেমে ঢুকলেন তখন অবশালোমও সেখানে পৌঁছাল।