16. তামর তাকে বলল, “না, তুমি আমার প্রতি যে অন্যায় করেছ এখন আমাকে বের করে দিলে তার চেয়েও বেশী অন্যায় করা হবে।”কিন্তু অম্নোন তার কথা শুনতে চাইল না।
17. সে তার নিজের চাকরকে ডেকে বলল, “এই মেয়েছেলেটিকে বাইরে বের করে দিয়ে দরজায় খিল লাগিয়ে দাও।”
18. চাকরটি তখন তামরকে বের করে দিয়ে দরজায় খিল লাগিয়ে দিল। মেয়েটির গায়ে লম্বা জামা ছিল, কারণ রাজার কুমারী মেয়েরা এই রকম পোশাকই পরত।
19. তখন তামর নিজের মাথায় ছাই দিল এবং তার পরনের লম্বা জামা ছিঁড়ে ফেলল। তারপর সে মাথায় হাত দিয়ে জোরে জোরে কাঁদতে কাঁদতে চলে গেল।
20. তামরের ভাই অবশালোম তাকে জিজ্ঞাসা করল, “তোমার ভাই অম্নোন কি তোমার ইজ্জত নষ্ট করেছে? বোন আমার, তুমি এই ব্যাপার সম্বন্ধে কাউকে কিছু বোলো না, কারণ সে তোমার ভাই। তুমি এই বিষয় নিয়ে মন খারাপ কোরো না।” সেই থেকে তামর তার ভাই অবশালোমের বাড়ীতে মন মরা হয়ে থাকতে লাগল।
21. রাজা দায়ূদ এই কথা শুনে ভীষণ রেগে গেলেন।
22. অবশালোম অম্নোনকে ভাল-মন্দ কিছুই বলল না। তার বোন তামরের ইজ্জত নষ্ট করেছে বলে সে অম্নোনকে ঘৃণা করতে লাগল।
23. এর দু’বছর পর ইফ্রয়িমের সীমানার কাছে বাল-হাৎসোরে অবশালোমের ভেড়ার লোম কাটা হচ্ছিল। তখন অবশালোম রাজার সব ছেলেদের সেখানে যাবার নিমন্ত্রণ করল।
24. সে রাজার কাছে গিয়ে বলল, “আপনার দাসের ভেড়ার লোম কাটা হচ্ছে। রাজা কি তাঁর কর্মচারীদের নিয়ে আমার কাছে আসবেন?”
25. উত্তরে রাজা বললেন, “না বাবা, আমরা সবাই যাব না; গেলে কেবল তোমার বোঝাই বাড়বে।” অবশালোম তাঁকে পীড়াপীড়ি করলেও তিনি যেতে রাজী হলেন না, কিন্তু তাকে আশীর্বাদ করলেন।
26. অবশালোম তখন রাজাকে বলল, “যদি আপনি না-ই যান তবে আমার ভাই অম্নোনকে আমাদের সংগে যেতে দিন।”রাজা তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “কেন সে তোমাদের সংগে যাবে?”
27. কিন্তু অবশালোম পীড়াপীড়ি করলে তিনি অম্নোনকে এবং তার সংগে সব রাজপুত্রদের পাঠিয়ে দিলেন।