12. তামর তাকে বলল, “না ভাই, না; তুমি আমার ইজ্জত নষ্ট কোরো না। ইস্রায়েলীয়দের মধ্যে এমন কাজ করা উচিত নয়। এই রকম জঘন্য কাজ তুমি কোরো না।
13. আমার কি হবে? কেমন করে আমি এই কলঙ্কের মুখ লোকদের দেখাব? আর তোমাকেও ইস্রায়েলীয়দের মধ্যে একজন খারাপ লোক বলে সবাই জানবে। মিনতি করি, তুমি বরং রাজার কাছে গিয়ে বল; তাহলে তিনি তোমার হাতে আমাকে দিতে অমত করবেন না।”
14. কিন্তু অম্নোন তামরের কথা শুনল না। তামরের চেয়ে শক্তিশালী হওয়াতে সে তার ইজ্জত নষ্ট করল।
15. এর পরে অম্নোন তাকে ভীষণ ঘৃণা করতে লাগল। আসলে সে তাকে যতখানি ভালবেসেছিল এখন তার চেয়েও বেশী ঘৃণা করতে লাগল। অম্নোন তাকে বলল, “তুমি উঠে চলে যাও।”
16. তামর তাকে বলল, “না, তুমি আমার প্রতি যে অন্যায় করেছ এখন আমাকে বের করে দিলে তার চেয়েও বেশী অন্যায় করা হবে।”কিন্তু অম্নোন তার কথা শুনতে চাইল না।
17. সে তার নিজের চাকরকে ডেকে বলল, “এই মেয়েছেলেটিকে বাইরে বের করে দিয়ে দরজায় খিল লাগিয়ে দাও।”
18. চাকরটি তখন তামরকে বের করে দিয়ে দরজায় খিল লাগিয়ে দিল। মেয়েটির গায়ে লম্বা জামা ছিল, কারণ রাজার কুমারী মেয়েরা এই রকম পোশাকই পরত।
19. তখন তামর নিজের মাথায় ছাই দিল এবং তার পরনের লম্বা জামা ছিঁড়ে ফেলল। তারপর সে মাথায় হাত দিয়ে জোরে জোরে কাঁদতে কাঁদতে চলে গেল।
20. তামরের ভাই অবশালোম তাকে জিজ্ঞাসা করল, “তোমার ভাই অম্নোন কি তোমার ইজ্জত নষ্ট করেছে? বোন আমার, তুমি এই ব্যাপার সম্বন্ধে কাউকে কিছু বোলো না, কারণ সে তোমার ভাই। তুমি এই বিষয় নিয়ে মন খারাপ কোরো না।” সেই থেকে তামর তার ভাই অবশালোমের বাড়ীতে মন মরা হয়ে থাকতে লাগল।
21. রাজা দায়ূদ এই কথা শুনে ভীষণ রেগে গেলেন।
22. অবশালোম অম্নোনকে ভাল-মন্দ কিছুই বলল না। তার বোন তামরের ইজ্জত নষ্ট করেছে বলে সে অম্নোনকে ঘৃণা করতে লাগল।
23. এর দু’বছর পর ইফ্রয়িমের সীমানার কাছে বাল-হাৎসোরে অবশালোমের ভেড়ার লোম কাটা হচ্ছিল। তখন অবশালোম রাজার সব ছেলেদের সেখানে যাবার নিমন্ত্রণ করল।