3. কিন্তু সেই গরীব লোকটির আর কিছুই ছিল না, ছিল কেবল একটা বাচ্চা-ভেড়ী। সে সেটা কিনে পালন করছিল। সেটা তার ও তার ছেলেমেয়েদের সংগে থেকে বড় হয়ে উঠতে লাগল। গরীব লোকটি যা খেত বাচ্চা ভেড়ীটাও তা-ই খেত আর তার পাত্র থেকেই সে জল খেত। তার কোলের কাছে সে শুয়ে থাকত। সে তার কাছে তার মেয়ের মতই ছিল।
4. একদিন একজন অতিথি সেই ধনী লোকটির কাছে আসল। কিন্তু ধনী লোকটি সেই অতিথির জন্য খাবার প্রস্তুত করতে নিজের গরু বা ভেড়া নিতে চাইল না। তার বদলে সে সেই গরীব লোকটির বাচ্চা ভেড়ীটা নিয়ে তার অতিথির জন্য খাবার তৈরী করল।”
5. এই কথা শুনে দায়ূদ সেই ধনী লোকটির উপর রাগে জ্বলে উঠলেন। তিনি নাথনকে বললেন, “জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্য, যে লোকটি এই কাজ করেছে তাকে মেরে ফেলাই উচিত।
6. সে একটুও দয়া না করে এই কাজ করেছে বলে তাকে ঐ ভেড়ার বাচ্চাটার চারগুণ দাম দিতে হবে।”
7. তখন নাথন দায়ূদকে বললেন, “আপনিই সেই লোক। ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু এই কথা বলছেন, ‘আমিই ইস্রায়েলের উপরে তোমাকে রাজপদে অভিষেক করেছি এবং শৌলের হাত থেকে তোমাকে রক্ষা করেছি।
8. তোমার মনিবের সব কিছু আমি তোমাকে দিয়েছি আর তার স্ত্রীদেরও আমি তোমার কাছে দিয়েছি। ইস্রায়েল ও যিহূদার সমস্ত গোষ্ঠীর লোকদের ভার আমি তোমাকে দিয়েছি। এই সব যদি তোমার পক্ষে যথেষ্ট না হত তবে আমি তোমাকে আরও অনেক কিছু দিতাম।
9. তবে সদাপ্রভুর চোখে যা মন্দ তা করে কেন তুমি তাঁর কথা তুচ্ছ করলে? তুমি হিত্তীয় ঊরিয়কে মেরে ফেলেছ এবং তার স্ত্রীকে নিজের স্ত্রী করে নিয়েছ, আর অম্মোনীয়দের দিয়ে তুমি ঊরিয়কে মেরে ফেলেছ।
24-25. দায়ূদ তাঁর স্ত্রী বৎশেবাকে সান্ত্বনা দিলেন এবং তিনি আবার তাঁর সংগে শুলেন। পরে তাঁর একটি ছেলে হল। দায়ূদ তাঁর নাম রাখলেন শলোমন। সদাপ্রভু ছেলেটিকে ভালবাসতেন বলে তাঁর নাম যিদীদীয় রাখবার জন্য নবী নাথনকে পাঠিয়ে দিলেন।
26. এদিকে যোয়াব অম্মোনীয়দের রাজধানী রব্বা শহরটা আক্রমণ করে দখল করে নিলেন।
27. যোয়াব দায়ূদের কাছে লোক পাঠিয়ে এই কথা বললেন, “আমি রব্বা শহরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যেখানে খাবার জল জমা করে রাখা হয় সেই এলাকাটা দখল করে নিয়েছি।
28. আপনি বাকী সৈন্যদের জড়ো করে নিয়ে শহরটা আক্রমণ করে দখল করুন। তা না হলে আমাকেই শহরটা দখল করতে হবে আর তাতে আমার নামেই শহরটার নাম হবে।”
29. তখন দায়ূদ সমস্ত সৈন্যদের জড়ো করে নিয়ে রব্বা শহরে গেলেন এবং শহরটা আক্রমণ করে দখল করে নিলেন।
30. তিনি সেখানকার রাজার মাথা থেকে মুকুটটা খুলে নিলেন। সেটা ঊনচল্লিশ কেজি সোনা দিয়ে তৈরী ছিল আর তাতে দামী পাথর বসানো ছিল। মুকুটটা দায়ূদের মাথায় পরিয়ে দেওয়া হল। দায়ূদ সেই শহর থেকে অনেক লুটের মাল নিয়ে গেলেন।
31. তিনি শহরের লোকদের বের করে আনলেন এবং করাত, লোহার খন্তা ও কুড়াল দিয়ে তাদের কাজ করালেন। তিনি তাদের ইট তৈরীর কাজে লাগালেন। অম্মোনীয়দের সমস্ত শহরে তিনি তা-ই করলেন। এর পর দায়ূদ তাঁর সমস্ত সৈন্যদল নিয়ে যিরূশালেমে ফিরে গেলেন।