15. কিন্তু তার পরের দিন হসায়েল একটা কম্বল জলে ভিজিয়ে নিয়ে রাজার মুখের উপর চাপা দিলেন, আর তাতে রাজা মারা গেলেন। তারপর হসায়েল বিন্হদদের জায়গায় রাজা হলেন।
16. ইস্রায়েলের রাজা আহাবের ছেলে যোরামের রাজত্বের পঞ্চম বছরে যখন যিহোশাফট যিহূদার রাজা ছিলেন তখন যিহোশাফটের ছেলে যিহোরাম যিহূদায় রাজত্ব করতে শুরু করলেন।
17. যিহোরাম বত্রিশ বছর বয়সে রাজা হয়েছিলেন এবং আট বছর ধরে যিরূশালেমে রাজত্ব করেছিলেন।
18. আহাবের বংশের লোকদের মতই তিনি ইস্রায়েলের রাজাদের পথে চলতেন, কারণ তিনি আহাবের একটি মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন। সদাপ্রভুর চোখে যা মন্দ তিনি তা-ই করতেন।
19. তবুও সদাপ্রভু নিজের দাস দায়ূদের কথা মনে করে যিহূদাকে ধ্বংস করতে চাইলেন না, কারণ তিনি দায়ূদ ও তাঁর বংশধরদের চিরকাল একটা প্রদীপ দেবেন বলে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন।
20. যিহোরামের সময়ে ইদোম দেশের লোকেরা যিহূদার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে নিজেদের জন্য একজন রাজা ঠিক করে নিয়েছিল।
21. কাজেই যিহোরাম তাঁর সব রথ নিয়ে সায়ীরে গেলেন। ইদোমীয়েরা তাঁকে ও তাঁর রথের সেনাপতিদের ঘেরাও করল, কিন্তু তিনি রাতের বেলায় উঠে ঘেরাও ভেংগে বেরিয়ে গেলেন আর তাঁর সৈন্যেরা পালিয়ে বাড়ী চলে আসল।
22. ইদোম আজও যিহূদার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে আছে। একই সময়ে লিব্নাও বিদ্রোহ করেছিল।
23. যিহোরামের অন্যান্য সমস্ত কাজের কথা “যিহূদার রাজাদের ইতিহাস” নামে বইটিতে লেখা আছে।
24. পরে যিহোরাম তাঁর পূর্বপুরুষদের কাছে চলে গেলেন এবং তাঁকে দায়ূদ-শহরে তাঁর পূর্বপুরুষদের সংগে কবর দেওয়া হল। তাঁর ছেলে অহসিয় তাঁর জায়গায় রাজা হলেন।
25. ইস্রায়েলের রাজা আহাবের ছেলে যোরামের রাজত্বের বারো বছরের সময় যিহূদার রাজা যিহোরামের ছেলে অহসিয় রাজত্ব করতে শুরু করলেন।
26. তিনি যখন রাজা হলেন তখন তাঁর বয়স ছিল বাইশ বছর এবং তিনি এক বছর যিরূশালেমে রাজত্ব করেছিলেন। তাঁর মা অথলিয়া ছিলেন ইস্রায়েলের রাজা অম্রির নাত্নী।