3. রাজা যোশিয়ের রাজত্বের আঠারো বছরের সময় তিনি মশুল্লমের নাতি, অর্থাৎ অৎসলিয়ের ছেলে রাজার লেখক শাফনকে এই কথা বলে সদাপ্রভুর ঘরে পাঠালেন,
4. “আপনি মহাপুরোহিত হিল্কিয়ের কাছে যান এবং তাঁকে বলুন যেন তিনি সদাপ্রভুর ঘরে আনা সমস্ত টাকা-পয়সা যা দারোয়ানেরা লোকদের কাছ থেকে তুলেছে তার হিসাব ঠিক করে রাখেন।
7. তাদের হাতে যে টাকা দেওয়া হবে তার হিসাব তাদের দিতে হবে না, কারণ তারা বিশ্বস্তভাবেই কাজ করে থাকে।”
8. তখন রাজার লেখক শাফনকে মহাপুরোহিত হিল্কিয় বললেন, “সদাপ্রভুর ঘরে আমি আইন-কানুনের বইটি পেয়েছি।” হিল্কিয় সেই বইটি শাফনকে দিলে পর তিনি তা পড়লেন।
9. তারপর শাফন সেই বইটি রাজার কাছে নিয়ে গিয়ে বললেন, “সদাপ্রভুর ঘরে যে টাকা ছিল তা আপনার দাসেরা বের করে সদাপ্রভুর ঘরের কাজের তদারককারীদের হাতে দিয়েছে।”
10. তখন লেখক শাফন এই কথা রাজাকে জানালেন, “পুরোহিত হিল্কিয় আমাকে একটি বই দিয়েছেন।” এই বলে শাফন তা রাজাকে পড়ে শোনালেন।
11. আইন-কানুনের বইতে যা লেখা ছিল তা শুনে রাজা নিজের পোশাক ছিঁড়লেন।
12. তিনি পুরোহিত হিল্কিয়, শাফনের ছেলে অহীকাম, মীখায়ের ছেলে অক্বোর, শাফন ও রাজার সাহায্যকারী অসায়কে এই আদেশ দিলেন,
13. “এই যে বইটি পাওয়া গেছে তার মধ্যে যে সমস্ত কথা লেখা আছে সেই সব কথা সম্বন্ধে আপনারা গিয়ে আমার জন্য এবং এখানকার ও সমস্ত যিহূদার লোকদের জন্য সদাপ্রভুর কাছে জিজ্ঞাসা করুন। সদাপ্রভু আমাদের বিরুদ্ধে ক্রোধের আগুনে জ্বলে উঠেছেন, কারণ আমাদের পূর্বপুরুষেরা এই বইয়ের কথামত চলেন নি এবং পালন করবার জন্য যে সব কথা সেখানে লেখা আছে সেই অনুসারে তাঁরা কাজ করেন নি।”
14. এই কথা শুনে পুরোহিত হিল্কিয়, অহীকাম, অক্বোর, শাফন ও অসায় মহিলা-নবী হুল্দার কাছে গিয়ে তাঁর সংগে কথাবার্তা বললেন। হুল্দা ছিলেন কাপড়-চোপড় রক্ষাকারী শল্লুমের স্ত্রী। শল্লূম ছিলেন হর্হসের নাতি, অর্থাৎ তিক্বের ছেলে। হুল্দা যিরূশালেমের দ্বিতীয় অংশে বাস করতেন।
17. তারা আমাকে ত্যাগ করে দেব-দেবতাদের উদ্দেশে ধূপ জ্বালিয়েছে এবং তাদের হাতের তৈরী সমস্ত প্রতিমার দ্বারা আমাকে অসন্তুষ্ট করেছে; সেইজন্য এই জায়গার বিরুদ্ধে আমার ক্রোধের আগুন জ্বলে উঠবে এবং তা নিভানো যাবে না।’
20. সেইজন্য আমি শীঘ্রই তোমাকে তোমার পূর্বপুরুষদের কাছে নিয়ে যাব এবং তুমি শান্তিতে কবর পাবে। এই জায়গার উপর আমি যে সব বিপদ নিয়ে আসব তোমার চোখ তা দেখবে না।’ ”তখন তাঁরা হুল্দার উত্তর নিয়ে রাজার কাছে ফিরে গেলেন।