28. তুমি আমার বিরুদ্ধে রেগে উঠেছ বলে এবং তোমার দেমাকের কথা আমার কানে এসেছে বলে আমি তোমার নাকে আমার কড়া লাগাব আর তোমার মুখে আমার বল্গা লাগাব; আর যে পথ দিয়ে তুমি এসেছ সেই পথেই ফিরে যেতে আমি তোমাকে বাধ্য করব।’
29. “হে হিষ্কিয়, তোমার জন্য চিহ্ন হবে এই: এই বছর নিজে নিজে যা জন্মাবে তোমরা তা-ই খাবে, আর দ্বিতীয় বছরে তা থেকে যা জন্মাবে তা খাবে। কিন্তু তৃতীয় বছরে তোমরা বীজ বুনবে ও ফসল কাটবে আর আংগুর ক্ষেত করে তার ফল খাবে।
30. যিহূদা-গোষ্ঠীর যে লোকেরা তখনও বেঁচে থাকবে তারা আর একবার সফল হবে। তারা গাছের মত নীচে শিকড় বসাবে আর উপরে ফল ফলাবে।
31. বেঁচে থাকা লোকেরা যিরূশালেম থেকে আসবে, আর সিয়োন পাহাড় থেকে আসবে রক্ষা পাওয়া এক দল লোক। সদাপ্রভুর আগ্রহই এই সমস্ত করবে।
32. “সেইজন্য আসিরিয়ার রাজার বিষয়ে সদাপ্রভু এই কথা বলছেন, ‘সে এই শহরে ঢুকবে না কিম্বা এখানে একটা তীরও মারবে না। সে ঢাল নিয়ে এর সামনে আসবে না কিম্বা ঘেরাও করে ওঠা-নামা করবার জন্য কিছু তৈরী করবে না।
33. সে যে পথ দিয়ে এসেছে সেই পথেই ফিরে যাবে; এই শহরে সে ঢুকবে না। আমি সদাপ্রভু এই কথা বলছি।
34. আমি আমার ও আমার দাস দায়ূদের জন্য এই শহরটা ঘিরে রেখে তা রক্ষা করব।’ ”
35. সেই রাতে সদাপ্রভুর দূত বের হয়ে আসিরিয়দের ছাউনির এক লক্ষ পঁচাশি হাজার লোককে মেরে ফেললেন। পরদিন সকালবেলা লোকেরা যখন উঠল তখন দেখা গেল সব জায়গায় কেবল মৃতদেহ।
36. কাজেই আসিরিয়ার রাজা সন্হেরীব তাঁর সৈন্যদল নিয়ে চলে গেলেন এবং নীনবী শহরে ফিরে গিয়ে সেখানে থাকতে লাগলেন।
37. একদিন যখন সন্হেরীব তাঁর দেবতা নিষ্রোকের মন্দিরে পূজা করছিলেন তখন অদ্রম্মেলক ও শরেৎসর নামে তাঁর দুই ছেলে তাঁকে তলোয়ারের ঘায়ে মেরে ফেলে অরারট দেশে পালিয়ে গেল। সন্হেরীবের জায়গায় তাঁর ছেলে এসর-হদ্দোন রাজা হলেন।