8. তারপর তিনি যেহূর নাতি, অর্থাৎ যিহোয়াহসের ছেলে ইস্রায়েলের রাজা যিহোয়াশকে বলে পাঠালেন, “আসুন, আমরা যুদ্ধের জন্য মুখোমুখি হই।”
9. কিন্তু ইস্রায়েলের রাজা উত্তরে যিহূদার রাজাকে বলে পাঠালেন, “লেবাননের এক শিয়ালকাঁটা লেবাননেরই এরস গাছের কাছে বলে পাঠাল, ‘আমার ছেলের সংগে আপনার মেয়ের বিয়ে দিন।’ তারপর লেবাননের একটা বুনো জন্তু এসে সেই শিয়ালকাঁটাকে পায়ে মাড়িয়ে দিল।
10. ইদোমকে হারিয়ে দিয়ে সত্যিই আপনার অহংকার হয়েছে। জয়ের বড়াই করুন, তবে নিজের ঘরে থাকুন। কেন বিপদ ডেকে আনবেন আর তার সংগে ডেকে আনবেন নিজের ও যিহূদার ধ্বংস?”
11. কিন্তু অমৎসিয় সেই কথায় কান দিলেন না। কাজেই ইস্রায়েলের রাজা যিহোয়াশ তাঁকে আক্রমণ করলেন। তিনি ও যিহূদার রাজা অমৎসিয় যিহূদার বৈৎ-শেমশে একে অন্যের মুখোমুখি হলেন।
12. ইস্রায়েলের হাতে যিহূদা সম্পূর্ণভাবে হেরে গেল এবং প্রত্যেকে নিজের নিজের বাড়ীতে পালিয়ে গেল।
13. ইস্রায়েলের রাজা যিহোয়াশ বৈৎ-শেমশে অহসিয়ের নাতি, অর্থাৎ যোয়াশের ছেলে যিহূদার রাজা অমৎসিয়কে বন্দী করলেন। তারপর যিহোয়াশ যিরূশালেমে গিয়ে সেখানকার দেয়ালের ইফ্রয়িম-ফটক থেকে কোণের ফটক পর্যন্ত প্রায় চারশো হাত লম্বা একটা অংশ ভেংগে দিলেন।
14. সদাপ্রভুর ঘরে এবং রাজবাড়ীর ধনভাণ্ডারে যত সোনা, রূপা ও অন্যান্য জিনিসপত্র ছিল তিনি তা সবই নিয়ে গেলেন। এছাড়া তিনি জামিন হিসাবে কতগুলো লোককে নিয়ে শমরিয়াতে ফিরে গেলেন।
15. যিহোয়াশের অন্যান্য সমস্ত কাজের কথা, যুদ্ধে তাঁর জয়ের কথা এবং যিহূদার রাজা অমৎসিয়ের বিরুদ্ধে তাঁর যুদ্ধের কথা “ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস” নামে বইটিতে লেখা আছে।
16. পরে যিহোয়াশ তাঁর পূর্বপুরুষদের কাছে চলে গেলেন এবং তাঁকে শমরিয়াতে ইস্রায়েলের রাজাদের সংগে কবর দেওয়া হল। তাঁর ছেলে যারবিয়াম তাঁর জায়গায় রাজা হলেন।
17. ইস্রায়েলের রাজা যিহোয়াহসের ছেলে যিহোয়াশের মৃত্যুর পর যিহূদার রাজা যোয়াশের ছেলে অমৎসিয় আরও পনেরো বছর বেঁচে ছিলেন।
18. অমৎসিয়ের অন্যান্য সমস্ত কাজের কথা “যিহূদার রাজাদের ইতিহাস” নামে বইটিতে লেখা আছে।
19. যিরূশালেমে অমৎসিয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হলে পর তিনি লাখীশে পালিয়ে গেলেন, কিন্তু লোকেরা লাখীশে লোক পাঠিয়ে তাঁকে সেখানে মেরে ফেলল।
20. তাঁর দেহটা ঘোড়ার পিঠে করে যিরূশালেমে ফিরিয়ে আনা হল এবং দায়ূদ-শহরে তাঁর পূর্বপুরুষদের সংগে তাঁকে কবর দেওয়া হল।
21. তারপর যিহূদার সমস্ত লোক অসরিয়কে তাঁর বাবা অমৎসিয়ের জায়গায় রাজা করল। তখন তাঁর বয়স ছিল ষোল বছর।
22. অমৎসিয় তাঁর পূর্বপুরুষদের কাছে চলে যাবার পরে অসরিয় এলৎ শহরটা আবার তৈরী করলেন এবং যিহূদার অধীনে আনলেন।
23. যিহূদার রাজা যোয়াশের ছেলে অমৎসিয়ের রাজত্বের পনেরো বছরের সময় ইস্রায়েলের রাজা যিহোয়াশের ছেলে যারবিয়াম শমরিয়াতে রাজা হলেন এবং তিনি একচল্লিশ বছর রাজত্ব করেছিলেন।
24. সদাপ্রভুর চোখে যা মন্দ তিনি তা-ই করতেন এবং নবাটের ছেলে যারবিয়াম ইস্রায়েলকে দিয়ে যে সব পাপ করিয়েছিলেন তিনি সেই সব পাপ করতেই থাকলেন।
25. ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু তাঁর দাস গাৎ-হেফরের অমিত্তয়ের ছেলে নবী যোনার মধ্য দিয়ে যে কথা বলেছিলেন সেই কথা অনুসারে যারবিয়াম হমাৎ এলাকা থেকে অরাবার সমুদ্র পর্যন্ত আগে ইস্রায়েলের রাজ্যের যে সীমা ছিল তা আবার নিজের অধিকারে ফিরিয়ে এনেছিলেন।
26. এর কারণ হল, সদাপ্রভু দেখেছিলেন ইস্রায়েলের স্বাধীন কিম্বা দাস সবাই ভীষণভাবে কষ্ট পাচ্ছে; কেউ তাদের সাহায্য করবার মত ছিল না।