22. তখন যেহূ পোশাক-রক্ষককে বললেন, “বাল দেবতার পূজাকারী সকলের জন্য পোশাক নিয়ে আসুন।” তাতে সে তাদের জন্য পোশাক বের করে আনল।
23. তারপর যেহূ ও রেখবের ছেলে যিহোনাদব বাল দেবতার মন্দিরে ঢুকলেন। যেহূ বাল দেবতার পূজাকারীদের বললেন, “আপনারা ভাল করে খুঁজে দেখুন যাতে সদাপ্রভুর দাসদের মধ্যে কেউ এখানে আপনাদের মধ্যে না থাকে, শুধু বাল দেবতার পূজাকারীরাই থাকবে।”
24. তখন তাঁরা পশুবলি ও পোড়ানো-উৎসর্গের অনুষ্ঠান করতে গেলেন। যেহূ আশিজন লোককে এই বলে সাবধান করে দিয়ে বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন, “আমি তোমাদের হাতে যাদের ভার দিচ্ছি তাদের একজনকেও যদি কেউ পালিয়ে যেতে দেয় তবে পালিয়ে যাওয়া লোকের প্রাণের বদলে তার প্রাণ যাবে।”
25. যেহূ পোড়ানো-উৎসর্গের অনুষ্ঠান শেষ করবার সংগে সংগে পাহারাদার ও সেনাপতিদের হুকুম দিলেন, “তোমরা ভিতরে ঢুকে ওদের মেরে ফেল; একজনও যেন পালিয়ে যেতে না পারে।” তখন তারা তলোয়ার দিয়ে তাদের কেটে ফেলল। পাহারাদার ও সেনাপতিরা মৃতদেহগুলো মন্দিরের বাইরে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে ভিতরের ঘরে গেল।
26. বাল দেবতার মন্দির থেকে পূজার পাথরগুলো তারা বের করে এনে পুড়িয়ে দিল।
27. তারপর তারা বাল দেবতার পূজার পাথরটা চুরমার করে দিল এবং মন্দিরটা ভেংগে ফেলল। লোকেরা তখন থেকে আজ পর্যন্ত সেটাকে পায়খানা-ঘর হিসাবে ব্যবহার করে আসছে।
28. এইভাবে যেহূ ইস্রায়েলের মধ্যে বাল দেবতার পূজা বন্ধ করে দিলেন।
29. কিন্তু নবাটের ছেলে যারবিয়াম ইস্রায়েলকে দিয়ে যে সব পাপ করিয়েছিলেন তা থেকে তিনি সরে আসেন নি। সেটা হল বৈথেল ও দানে সোনার বাছুরের পূজা করা।
30. সদাপ্রভু যেহূকে বললেন, “আমার চোখে যা ন্যায্য তা করে তুমি ভাল করেছ এবং আহাবের বংশের প্রতি আমি যা করতে চেয়েছি তা-ও তুমি করেছ, সেইজন্য চতুর্থ পুরুষ পর্যন্ত তোমার বংশধরেরা ইস্রায়েলের সিংহাসনে বসতে পারবে।”
31. তবুও যেহূ সমস্ত অন্তর দিয়ে ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর আইন-কানুন মেনে চলবার দিকে সতর্ক হলেন না। যারবিয়াম ইস্রায়েলকে দিয়ে যে সব পাপ করিয়েছিলেন তা থেকে তিনি সরে আসলেন না।
32-33. সেই সময় থেকে সদাপ্রভু ইস্রায়েল দেশের সীমা ছোট করতে লাগলেন। হসায়েল ইস্রায়েলীয়দের দেশের যর্দন নদীর পূর্ব দিকের সমস্ত জায়গায় তাদের হারিয়ে দিতে লাগলেন। সেই জায়গা হল অর্ণোন উপত্যকার পাশে অরোয়ের পর্যন্ত সমস্ত গিলিয়দ ও বাশন দেশ। এটা ছিল গাদ, রূবেণ ও মনঃশির এলাকা।
34. যেহূর অন্যান্য সমস্ত কাজের কথা এবং যুদ্ধে তাঁর জয়ের কথা “ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস” নামে বইটিতে লেখা আছে।