2-3. “আপনাদের মনিবের বংশধরেরা আপনাদের কাছে আছে এবং রথ, ঘোড়া, দেয়াল-ঘেরা শহর আর অস্ত্রশস্ত্রও আছে। কাজেই এই চিঠি পাওয়ামাত্র আপনাদের মনিবের সব চেয়ে ভাল ও যোগ্য বংশধরকে বেছে নিয়ে আহাবের সিংহাসনে বসান, তারপর মনিবের বংশের জন্য যুদ্ধ করুন।”
4. কিন্তু তাঁরা ভীষণ ভয় পেয়ে বললেন, “দু’জন রাজা যখন যেহূর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারলেন না তখন আমরা কি করে পারব?”
5. কাজেই রাজবাড়ীর পরিচালক, শহরের শাসনকর্তা, বৃদ্ধ নেতারা এবং আহাবের বংশধরদের রক্ষকেরা যেহূকে এই কথা বলে পাঠালেন, “আমরা আপনার দাস। আপনি যা বলবেন আমরা তা-ই করব। আমরা কাউকেই রাজা করব না; আপনি যা ভাল মনে করেন তা-ই করুন।”
6. তখন যেহূ তাদের কাছে এই বলে দ্বিতীয় চিঠি লিখলেন, “আপনারা যদি আমার পক্ষে থাকেন এবং আমার আদেশ পালন করতে চান তবে আপনাদের মনিবের বংশধরদের মাথাগুলো কেটে নিয়ে আগামী কাল এই সময়ে যিষ্রিয়েলে আমার কাছে চলে আসুন।”আহাবের সেই সত্তরজন বংশধর তখন শহরের প্রধান লোকদের কাছে ছিল। তাঁরা তাদের দেখাশোনা করতেন।
7. যেহূর চিঠিটা পৌঁছাবার পর সেই লোকেরা সেই সত্তরজনের সবাইকে ধরে মেরে ফেললেন। তারপর টুকরিতে করে মাথাগুলো যিষ্রিয়েলে যেহূর কাছে পাঠিয়ে দিলেন।
8. তখন একজন লোক এসে যেহূকে বলল, “ওরা তাদের মাথা নিয়ে এসেছে।”তখন যেহূ হুকুম দিলেন, “ওগুলো দু’টা গাদা করে শহর-ফটকে ঢুকবার পথে সকাল পর্যন্ত রেখে দাও।”
9. পরের দিন সকালে যেহূ বাইরে গেলেন। তিনি সমস্ত লোকদের সামনে দাঁড়িয়ে বললেন, “আপনাদের কোন দোষ নেই। আমিই আমার মনিবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তাঁকে মেরে ফেলেছি, কিন্তু এদের সবাইকে মারল কে?
12-13. এর পর যেহূ বের হয়ে শমরিয়ার দিকে চললেন। পথে রাখালদের গ্রাম বৈৎ-একদে যিহূদার রাজা অহসিয়ের বংশের কয়েকজন লোকের সংগে তাঁর দেখা হল। তিনি তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “আপনারা কারা?” তারা বলল, “আমরা অহসিয়ের বংশের লোক। আমরা রাণী ঈষেবলের সন্তানদের ও রাজপরিবারের সবাইকে শুভেচ্ছা জানাতে এসেছি।”
14. তখন যেহূ হুকুম দিলেন, “ওদের জীবন্ত ধর।” লোকেরা তাদের জীবন্তই ধরল এবং সেখানকার কূয়ার কাছে তাদের মেরে ফেলল। তারা সংখ্যায় ছিল বিয়াল্লিশজন। তাদের মধ্যে একজনকেও তিনি বাঁচিয়ে রাখলেন না।
15. সেখান থেকে চলে যাবার পর রেখবের ছেলে যিহোনাদবের সংগে যেহূর দেখা হল। তিনি যেহূর সংগে দেখা করতে আসছিলেন। যেহূ তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বললেন, “আমি যেমন আপনার পক্ষে আছি তেমনি আপনিও কি আমার পক্ষে আছেন?”উত্তরে যিহোনাদব বললেন, “হ্যাঁ, আছি।”যেহূ বললেন, “যদি তা-ই হয় তবে আপনার হাত বাড়িয়ে দিন।” যিহোনাদব তা-ই করলেন আর যেহূ তাঁকে রথে তুলে নিলেন।
16. তারপর যেহূ বললেন, “আমার সংগে আসুন এবং সদাপ্রভুর জন্য আমার আগ্রহ কতখানি তা দেখুন।” এই বলে তিনি তাঁকে তাঁর রথে করে নিয়ে চললেন।
17. যেহূ শমরিয়াতে এসে আহাবের বংশের বাদবাকী সব লোকদের মেরে ফেললেন। সদাপ্রভু এলিয়কে যেমন বলেছিলেন সেই অনুসারেই যেহূ তাদের ধ্বংস করলেন।
18. তারপর যেহূ সমস্ত লোকদের জড়ো করে তাদের বললেন, “আহাব বাল দেবতার পূজা সামান্যই করেছেন, কিন্তু যেহূ তাঁর পূজা করবে অনেক বেশী।
19. এখন বাল দেবতার সব নবী, পূজাকারী ও পুরোহিতদের আপনারা ডেকে আনুন। দেখবেন যেন কেউ বাদ না পড়ে, কারণ বাল দেবতার উদ্দেশে আমি একটা মস্ত বড় পশুবলির ব্যবস্থা করতে যাচ্ছি। এতে কেউ যদি না আসে তবে তাকে মেরে ফেলা হবে।” কিন্তু আসলে যেহূ বাল দেবতার পূজাকারীদের ধ্বংস করবার জন্যই এই ছলনা করছিলেন।
20. যেহূ বললেন, “বাল দেবতার উদ্দেশে একটা সভা ডাকা হোক।” কাজেই সেই কথা লোকেরা ঘোষণা করে দিল।
21. যেহূ তখন ইস্রায়েলের সব জায়গায় খবর পাঠালেন। তাতে বাল দেবতার সমস্ত পূজাকারীরা এসে হাজির হল, কেউই অনুপস্থিত রইল না। তারা বাল দেবতার মন্দিরে ঢুকলে পর এমন ভিড় হল যে, মন্দিরের এপাশ থেকে ওপাশ পর্যন্ত লোকে ভরে গেল।