1. শমরিয়াতে আহাবের সত্তরজন বংশধর ছিল। যেহূ চিঠি লিখে শমরিয়াতে যিষ্রিয়েলের শাসনকর্তাদের কাছে, বৃদ্ধ নেতাদের কাছে এবং আহাবের বংশধরদের রক্ষকদের কাছে পাঠিয়ে দিলেন। তিনি লিখেছিলেন,
2-3. “আপনাদের মনিবের বংশধরেরা আপনাদের কাছে আছে এবং রথ, ঘোড়া, দেয়াল-ঘেরা শহর আর অস্ত্রশস্ত্রও আছে। কাজেই এই চিঠি পাওয়ামাত্র আপনাদের মনিবের সব চেয়ে ভাল ও যোগ্য বংশধরকে বেছে নিয়ে আহাবের সিংহাসনে বসান, তারপর মনিবের বংশের জন্য যুদ্ধ করুন।”
4. কিন্তু তাঁরা ভীষণ ভয় পেয়ে বললেন, “দু’জন রাজা যখন যেহূর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারলেন না তখন আমরা কি করে পারব?”
5. কাজেই রাজবাড়ীর পরিচালক, শহরের শাসনকর্তা, বৃদ্ধ নেতারা এবং আহাবের বংশধরদের রক্ষকেরা যেহূকে এই কথা বলে পাঠালেন, “আমরা আপনার দাস। আপনি যা বলবেন আমরা তা-ই করব। আমরা কাউকেই রাজা করব না; আপনি যা ভাল মনে করেন তা-ই করুন।”
12-13. এর পর যেহূ বের হয়ে শমরিয়ার দিকে চললেন। পথে রাখালদের গ্রাম বৈৎ-একদে যিহূদার রাজা অহসিয়ের বংশের কয়েকজন লোকের সংগে তাঁর দেখা হল। তিনি তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “আপনারা কারা?” তারা বলল, “আমরা অহসিয়ের বংশের লোক। আমরা রাণী ঈষেবলের সন্তানদের ও রাজপরিবারের সবাইকে শুভেচ্ছা জানাতে এসেছি।”
32-33. সেই সময় থেকে সদাপ্রভু ইস্রায়েল দেশের সীমা ছোট করতে লাগলেন। হসায়েল ইস্রায়েলীয়দের দেশের যর্দন নদীর পূর্ব দিকের সমস্ত জায়গায় তাদের হারিয়ে দিতে লাগলেন। সেই জায়গা হল অর্ণোন উপত্যকার পাশে অরোয়ের পর্যন্ত সমস্ত গিলিয়দ ও বাশন দেশ। এটা ছিল গাদ, রূবেণ ও মনঃশির এলাকা।