5. প্রধান বড় কামরাটা শলোমন প্রথমে বেরস কাঠের তক্তা দিয়ে ঢেকে দিলেন এবং তারপর তা খাঁটি সোনা দিয়ে মুড়িয়ে দিলেন, আর সেটা খেজুর ও শিকলের নক্শা দিয়ে সাজানো হল।
6. এছাড়া দামী দামী পাথর দিয়ে তিনি ঘরটা সাজালেন। যে সোনা তিনি ব্যবহার করলেন তা ছিল পর্বয়িম দেশের।
7. দেয়ালগুলোতে তিনি করূবদের আকার খোদাই করালেন এবং ছাদের কড়িকাঠ, দরজার ফ্রেম, দেয়াল ও দরজা সোনা দিয়ে মুড়িয়ে দিলেন।
8. তারপর তিনি মহাপবিত্র স্থানটি তৈরী করলেন। সেটি ঘরের চওড়া অনুসারে বিশ হাত চওড়া ও বিশ হাত লম্বা করা হল। তেইশ টন চারশো কেজি খাঁটি সোনা দিয়ে তিনি ভিতরটা মুড়িয়ে দিলেন।
9. সোনার পেরেকগুলোর ওজন ছিল ছ’শো পঞ্চাশ গ্রাম। তিনি উপরের কামরাগুলোও সোনা দিয়ে মুড়িয়ে দিলেন।
10. মহাপবিত্র স্থানে তিনি এক জোড়া করূবের মূর্তি খোদাই করে তৈরী করালেন এবং সোনা দিয়ে মুড়িয়ে দিলেন।
14. শলোমন নীল, বেগুনী ও লাল সুতা এবং মসীনা সুতা দিয়ে পর্দা তৈরী করালেন আর তার মধ্যে করূবের আকার সেলাই করালেন।
15. উপাসনা-ঘরের সামনে তিনি দু’টা থাম তৈরী করালেন। সেগুলো ছিল পঁয়ত্রিশ হাত উঁচু। প্রত্যেকটার মাথার মাপ ছিল পাঁচ হাত।
16. তিনি পাকানো শিকল তৈরী করে থাম দু’টার মাথার উপরে দিলেন, আর একশোটা ডালিম তৈরী করে সেই শিকলে জুড়ে দিলেন।
17. সেই থাম দু’টা উপাসনা-ঘরের সামনে দক্ষিণে একটা ও উত্তরে অন্যটা দাঁড় করিয়ে দেওয়া হল। যেটা দক্ষিণে ছিল তার নাম তিনি দিলেন যাখীন (যার মানে “তিনি স্থাপন করেন”) এবং যেটা উত্তরে ছিল তার নাম দিলেন বোয়স (যার মানে “তাঁর মধ্যেই শক্তি”)।