10. আর এখন আপনারা যিহূদা ও যিরূশালেমের লোকদের আপনাদের দাস-দাসী করতে চাইছেন। কিন্তু আপনাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে কি আপনারাও দোষী নন?
11. এখন আপনারা আমার কথা শুনুন। আপনাদের জাতি-ভাইদের মধ্য থেকে যাদের আপনারা বন্দী করে নিয়ে এসেছেন তাদের আপনারা ফেরত পাঠিয়ে দিন, কারণ সদাপ্রভুর ভয়ংকর ক্রোধ আপনাদের উপরে রয়েছে।”
12. তখন যুদ্ধ থেকে যারা ফিরে আসছিল ইফ্রয়িমের কয়েকজন নেতা তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ালেন। সেই নেতারা হলেন যিহোহাননের ছেলে অসরিয়, মশিল্লেমোতের ছেলে বেরিখিয়, শল্লুমের ছেলে যিহিষ্কিয় ও হদ্লয়ের ছেলে অমাসা।
13. তাঁরা বললেন, “ঐ বন্দীদের তোমরা এখানে আনবে না; আনলে আমরা সদাপ্রভুর কাছে দোষী হব। আমাদের পাপ ও দোষের সংগে কি তোমরা আরও কিছু যোগ দিতে চাও? আমরা তো ভীষণভাবে দোষী হয়েই রয়েছি আর সদাপ্রভুর ভয়ংকর ক্রোধ ইস্রায়েলের উপর রয়েছে।”
14. তখন সৈন্যেরা সেই নেতাদের ও সমস্ত লোকদের সামনে সেই বন্দীদের ও লুটের জিনিসগুলো রাখল।
15. সেই নেতারা তখন লুটের জিনিস থেকে কাপড়-চোপড় নিয়ে বন্দীদের মধ্যে যারা উলংগ ছিল তাদের সবাইকে কাপড় পরালেন। তাঁরা তাদের কাপড়-চোপড়, জুতা ও খাবার-দাবার দিলেন এবং তাদের আঘাতের উপর তেল ঢেলে দিলেন। দুর্বলদের তাঁরা গাধার উপর চড়িয়ে যিরীহোতে, অর্থাৎ খেজুর-শহরে তাদের নিজের লোকদের কাছে ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন। পরে তাঁরা শমরিয়াতে ফিরে আসলেন।
16. সেই সময় রাজা আহস সাহায্য চাইবার জন্য আসিরিয়ার রাজার কাছে লোক পাঠালেন।
17. এর কারণ হল, ইদোমীয়েরা আবার এসে যিহূদা আক্রমণ করে লোকদের বন্দী করে নিয়ে গিয়েছিল।
18. এদিকে আবার পলেষ্টীয়েরা তখন নীচু পাহাড়ী এলাকার গ্রামগুলোতে এবং যিহূদার নেগেভে হানা দিয়েছিল। তারা বৈৎ-শেমশ, অয়ালোন, গদেরোৎ এবং আশেপাশের জায়গা সুদ্ধ সোখো, তিম্না ও গিম্সো অধিকার করে নিয়ে সেখানে বাস করছিল।
19. রাজা আহসের জন্য সদাপ্রভু যিহূদাকে নীচু করেছিলেন, কারণ আহস যিহূদায় মন্দতা বৃদ্ধি পেতে দিয়েছিলেন এবং নিজে সদাপ্রভুর প্রতি খুব বেশী অবিশ্বস্ত হয়েছিলেন।
20. আসিরিয়ার রাজা তিগ্লৎ-পিলেষর তাঁর কাছে এসেছিলেন কিন্তু তিনি সাহায্যের বদলে আহসকে কষ্টই দিলেন।
21. তখন আহস সদাপ্রভুর ঘর ও রাজবাড়ী থেকে এবং নেতাদের কাছ থেকে কিছু দামী জিনিসপত্র নিয়ে আসিরিয়ার রাজাকে উপহার দিলেন, কিন্তু তাতে কিছুই হল না।