7. ঈশ্বর পলেষ্টীয়দের, গূরবালে বাসকারী আরবীয়দের এবং মিয়ূনীয়দের বিরুদ্ধে তাঁকে সাহায্য করলেন।
8. অম্মোনীয়েরা উষিয়কে কর্ দিত। তিনি খুব শক্তিশালী হয়ে উঠেছিলেন বলে মিসরের সীমানা পর্যন্ত তাঁর সুনাম ছড়িয়ে পড়েছিল।
9. উষিয় যিরূশালেমের কোণার ফটকে, উপত্যকা-ফটকে এবং দেয়ালের কোণে উঁচু পাহারা-ঘর তৈরী করে সেগুলো শক্তিশালী করলেন।
10. নীচু পাহাড়ী এলাকায় এবং সমভূমিতে তাঁর অনেক পশুপাল ছিল; সেইজন্য তিনি মরু-এলাকায় উঁচু উঁচু পাহারা-ঘর তৈরী করলেন এবং অনেক কূয়া খুঁড়লেন। তাঁর লোকেরা উর্বর জমিতে চাষ করত এবং পাহাড়ে আংগুর ক্ষেত করত, কারণ তিনি কৃষিকাজ ভালবাসতেন।
11. উষিয়ের একটা দক্ষ সৈন্যদল ছিল। তারা হনানীয় নামে একজন সেনাপতির পরিচালনার অধীনে ছিল এবং লেখক যিয়ূয়েল ও কর্মকর্তা মাসেয়ের ঠিক করা সংখ্যা অনুসারে তারা দলে দলে যুদ্ধে যাবার জন্য প্রস্তুত থাকত।
14. উষিয় সমস্ত সৈন্যদলের জন্য ঢাল, বর্শা, মাথা রক্ষার টুপি, বর্ম, ধনুক ও ফিংগার পাথর যোগান দিতেন।
15. তিনি যিরূশালেমে দক্ষ লোকদের তৈরী যন্ত্রপাতি উঁচু পাহারা-ঘরগুলোতে এবং দেয়ালের কোণায় কোণায় রাখলেন যাতে সেখান থেকে তীর ও বড় বড় পাথর ছুঁড়ে মারা যায়। তাঁর সুনাম দূর দেশে ছড়িয়ে গেল। তিনি ঈশ্বরের অনেক সাহায্য পেয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠলেন।
16. উষিয় শক্তিশালী হয়ে উঠলে পর তাঁর মনে অহংকার আসল এবং তাতে তাঁর পতন হল। তিনি ধূপ-বেদীতে ধূপ জ্বালাবার জন্য সদাপ্রভুর ঘরে ঢুকে তাঁর ঈশ্বর সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে পাপ করলেন।
17. তাতে মহাপুরোহিত অসরিয় এবং সদাপ্রভুর আশিজন সাহসী পুরোহিত রাজার পিছনে পিছনে ভিতরে গেলেন।
18. তাঁরা তাঁকে বাধা দেবার জন্য বললেন, “উষিয়, সদাপ্রভুর উদ্দেশে ধূপ জ্বালাবার অধিকার আপনার নেই। হারোণের বংশধরদের, যাদের ধূপ জ্বালাবার জন্য আলাদা করা হয়েছে, সেই পুরোহিতদেরই অধিকার আছে। এই পবিত্র জায়গা থেকে আপনি বের হয়ে যান, কারণ আপনি পাপ করেছেন। এর ফলে ঈশ্বর সদাপ্রভু নিশ্চয়ই আপনাকে শাস্তি দেবেন।”
19. তখন উষিয় রেগে আগুন হয়ে গেলেন; তাঁর হাতে ধূপ জ্বালাবার জন্য একটা ধূপদানি ছিল। সদাপ্রভুর ঘরে ধূপ-বেদীর সামনে পুরোহিতদের উপর যখন তিনি রাগ করছিলেন তখন তাঁর কপালে একটা খারাপ চর্মরোগ দেখা দিল।
20. প্রধান পুরোহিত অসরিয় ও অন্যান্য সব পুরোহিতেরা তাঁর দিকে তাকিয়ে তাঁর কপালে সেই চর্মরোগ দেখতে পেলেন। কাজেই তাঁরা তাড়াতাড়ি তাঁকে বের করে দিলেন। তিনি নিজেও তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যেতে চাইলেন, কারণ সদাপ্রভু তাঁকে আঘাত করেছিলেন।