3. উষিয় ষোল বছর বয়সে রাজা হয়েছিলেন এবং যিরূশালেমে বাহান্ন বছর রাজত্ব করেছিলেন। তাঁর মায়ের নাম ছিল যিখলিয়া; তিনি ছিলেন যিরূশালেম শহরের মেয়ে।
4. উষিয় তাঁর বাবা অমৎসিয়ের মতই সদাপ্রভুর চোখে যা ভাল তা-ই করতেন।
5. সখরিয়ের সময়কালে তিনি ঈশ্বরের ইচ্ছামত চলতেন। ঈশ্বরকে ভয় করতে সখরিয় তাঁকে উপদেশ দিতেন। যতদিন তিনি সদাপ্রভুর ইচ্ছামত চলেছিলেন ততদিন ঈশ্বরও তাঁকে সফলতা দান করেছিলেন।
6. তিনি পলেষ্টীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলেন এবং গাৎ, যব্নির ও অস্দোদের দেয়াল ভেংগে ফেললেন। তারপর তিনি অস্দোদ এলাকায় এবং পলেষ্টীয়দের অন্যান্য জায়গায় কতগুলো দেয়াল-ঘেরা গ্রাম আবার গড়ে তুললেন।
7. ঈশ্বর পলেষ্টীয়দের, গূরবালে বাসকারী আরবীয়দের এবং মিয়ূনীয়দের বিরুদ্ধে তাঁকে সাহায্য করলেন।
8. অম্মোনীয়েরা উষিয়কে কর্ দিত। তিনি খুব শক্তিশালী হয়ে উঠেছিলেন বলে মিসরের সীমানা পর্যন্ত তাঁর সুনাম ছড়িয়ে পড়েছিল।
9. উষিয় যিরূশালেমের কোণার ফটকে, উপত্যকা-ফটকে এবং দেয়ালের কোণে উঁচু পাহারা-ঘর তৈরী করে সেগুলো শক্তিশালী করলেন।
10. নীচু পাহাড়ী এলাকায় এবং সমভূমিতে তাঁর অনেক পশুপাল ছিল; সেইজন্য তিনি মরু-এলাকায় উঁচু উঁচু পাহারা-ঘর তৈরী করলেন এবং অনেক কূয়া খুঁড়লেন। তাঁর লোকেরা উর্বর জমিতে চাষ করত এবং পাহাড়ে আংগুর ক্ষেত করত, কারণ তিনি কৃষিকাজ ভালবাসতেন।
11. উষিয়ের একটা দক্ষ সৈন্যদল ছিল। তারা হনানীয় নামে একজন সেনাপতির পরিচালনার অধীনে ছিল এবং লেখক যিয়ূয়েল ও কর্মকর্তা মাসেয়ের ঠিক করা সংখ্যা অনুসারে তারা দলে দলে যুদ্ধে যাবার জন্য প্রস্তুত থাকত।
14. উষিয় সমস্ত সৈন্যদলের জন্য ঢাল, বর্শা, মাথা রক্ষার টুপি, বর্ম, ধনুক ও ফিংগার পাথর যোগান দিতেন।
15. তিনি যিরূশালেমে দক্ষ লোকদের তৈরী যন্ত্রপাতি উঁচু পাহারা-ঘরগুলোতে এবং দেয়ালের কোণায় কোণায় রাখলেন যাতে সেখান থেকে তীর ও বড় বড় পাথর ছুঁড়ে মারা যায়। তাঁর সুনাম দূর দেশে ছড়িয়ে গেল। তিনি ঈশ্বরের অনেক সাহায্য পেয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠলেন।